ঈশ্বরদীতে গত কয়েক দিনে শীত বেড়েছে অনেকটা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতাল আগে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ জন রোগী আসত, সেখানে এখন ২৫ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঠান্ডাজনিত শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন। গত এক সপ্তাহে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও শ্বাসনালির সংক্রমণে কাশি, অ্যাজমা, জ্বর, অ্যালার্জি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালের শিশু বিভাগে একাধিক শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবীদ নাজনীন আক্তারের দেওয়া তথ্য মতে, গত ১ সপ্তাহে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃ বিভাগে ৩১৮৪ জন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছে। যার মধ্যে ৪৯৪ জন (০-৪ বছরের) শিশু এবং ৭০৬ জন পঞ্চাশ উর্ধ্ব বৃদ্ধ রোগী। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১ সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন রোগী। এছাড়াও প্রতিদিন জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন কয়েক’শ রোগী।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান জানান, ঈশ্বরদী হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০-র মতো রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই সংখ্যা বেড়েছে। এঁদের অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সিহাব হোসেন (এমবিবিএস বিসিএস) বলেন, এই সময়ে বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকায় অনেকের অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস দেখা দেয়। এ সময় রোগবালাই থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সচেতনতা। শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধদের দিকে বেশি যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি শিশুদের ঠান্ডা লাগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।