অনেকটা অপেক্ষার পর দীর্ঘ লম্বা সময় অতিবাহিতও হবার দেড় বছর পর গতকাল রবিবারে সব জায়গাতে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হলেও ক্লাস হয়নি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবস্থিত বন্যা কবলিত ৩০টি স্কুলে। দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বন্যা কবলিত ৩০টি স্কুল প্রায় ৩০ দিন পানিবন্দি অবস্থাতে আছে, তার কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা।
এর মধ্যে আছে ২৫টি সরকারি বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা। সারা দেশে স্কুল খোলার আনন্দ পালন হলেও বঞ্চিত রয়েছে দৌলতপুরের পানিবন্দি ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বন্যার পানি কমলে ও পরিবেশ স্বাভাবিক হলে বন্যা কবলিত পানিবন্দি স্কুলগুলোতেও যথারীতি ক্লাস হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বন্যা কবলিত পানিবন্দি স্কুল খোলার বিষয়ে দৌলতপুর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত না হবার কারণে ক্লাস হয়নি।
দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মো. আবু সালেক জানায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি থাকার কারণে খোলা সম্ভব হয়নি। তবে বন্যার পানি কমলে ও পরিবেশ স্বাভাবিক হলে তা খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ১মাস যাবৎ দৌলতপুরের চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। সেখানে পানিবন্দি আছে চরাঞ্চলের ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।