পাবনার ঈশ্বরদী দাশুড়িয়ায় শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধুকে ধর্ষনের ঘটনা থানায় ধর্ষন প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী পুত্রবধূর বক্তব্যে ধর্ষনের বিস্তারিত বিবরণ জানা গেছে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বলছে, ভিকটিমের বয়ান অনুযায়ী ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলা রেকর্ড হয়েছে। তবে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা কেন করানো হলো না, এনিয়ে এলাকায় বিরূপ সমালোচনা চলছে। মূলত: লম্পট শ্বশুরকে রক্ষার জন্যই এভাবে মামলা রেকর্ড হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা র্কর্মকর্তা ডা: আসমা খান বলেন, ধর্ষনের পর কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলা হলেও শরীরে ভায়োলেন্সের আলামত থাকবে। তাছাড়া শরীর ধুয়ে ফেলার পরও কেমিকেল বা ফরেনসিক টেষ্টে কিছু আলামত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কালিকাপুর হাই স্কুলের শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন এঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তানাহলে সমাজে এধরণের ঘটনা অহরহ ঘটবে।
এর আগে শনিবার (২৭ আগষ্ট) রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট শ্বশুর দেবেন আলম তার পুত্রবধু স্মৃতি খাতুন (১৯) কে তার ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ঘটনাটি স্মৃতি খাতুন তার স্বামীকে (ঢাকায়) জানালে তিনি বিশ্বাস না করে উল্টো তাকেই বকাবকিসহ তালাকের হুমকি দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে রবিবার সকালে স্মৃতি খাতুন বাগবাড়িয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। তার বাবার নাম চাঁদ আলী।
ঘটনাটি জানাজানি হলে লম্পট আলম বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং পুত্রবধু স্মৃতির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রবিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী স্মৃতি তার পিতা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নিয়ে ঈশ্বরদী থানায় এসে লম্পট শ্বশুর দেবেন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অভিযান চালিয়ে কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ঝোপ থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আলম হোসেন ওরফে দেবেন আলম কালিকাপুর দিকশাইল গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে।