ইট-পাথরের নাগরিক সভ্যতায় দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। সবুজকে ধরে রাখার নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় নিজ অফিসের ছাদে তৈরি করছেন বাগান। তেমনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি. এম. ইমরুল কায়েস।
ঈশ্বরদীতে প্রকৃতিপ্রেমী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম.ইমরুল কায়েস ঈশ্বরদীতে যোগদান করার পড়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের ছাদে গড়ে তোলে দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগান। ছাদ বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফল ও ঔষধি গাছ। ছাদজুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন ফলের সারি সারি গাছ। গাছে ঝুলছে ফল। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১৩ প্রজাতির দেড়শতাধিক গাছ রয়েছে। ছাদ ছাড়াও পরিষদ চত্বরের রোপণ করে নানা প্রজাতির গাছ।
ছবি : ঈশ্বরদী উপজেলার প্রধান ভবনে ছাদ বাগান
ছাদবাগান ও সবুজায়নের উদ্যোক্তা পি. এম. ইমরুল কায়েস শখের বশে দুই বছর আগে ছোট পরিসরে শুরু করেছিলেন এই বাগান। বাগানের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ তিনি নিজেই করেন। কীটনাশক প্রয়োগ না করায় গাছগুলো বেড়ে উঠছে পরিবেশবান্ধব উপায়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব, যেমন উষ্ণায়ন, অতিবৃষ্টি ও খরা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তার এই সবুজায়ন ছাদ বাগান।
এ ছাদ বাগানের উদ্যোক্তা পি. এম. ইমরুল কায়েস বলেন, উপজেলাবাসীকে বাড়ির আঙ্গিনাসহ খালি জায়গায় গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমার এই পদক্ষেপ। তিনি আরো বলেন, কারো বাড়ীর ছাদ ফেলে না রেখে সেখানে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি চাষ করে বিষমুক্ত ফল ও সবজি খেতে পারেন।