ঈশ্বরদীতে কুদ্দুস (৪২) নামে এক কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করেছে দোকানের মালিক রিপন বিশ্বাস। সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১ টার সময় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি লইমোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিপন ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামের রশিদ বিশ্বাসের ছেলে ও পেশায় হোটেল মালিক এবং আহত কুদ্দুস একই ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত কাফি প্রাং এর ছেলে এবং পেশায় ঐ হোটেলের কর্মচারী।
আহত কুদ্দুস জানান, প্রায় ১ মাস যাবৎ তিনি লইমোড়ে রিপনের হোটেলে কারিগরের কাজ করে আসছেন। পূর্ব পরিচিত থাকায় এর আগে রিপনকে ২০ হাজার টাকা ধার দেন। দীর্ঘ দিন টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোমবার পাওনা টাকা ও কাজের মজুরি চাইলে এ নিয়ে রিপনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। পরে লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে যখম করে দোকান মালিক রিপন।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দোকান মালিক রিপন। তিনি বলেন, ১ মাস নয় ১৫ দিন ধরে সে আমার দোকানে কাজ করে। কাজের মজুরীর চেয়ে ২ হাজার টাকা তাকে বেশি দিয়ে রেখেছি। আমার দোকানে হয়তো সে আর কাজ করবে না এজন্য সকাল থেকেই বিভিন্ন রকম টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পিটিয়ে যখমের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, দুজনই দুজনইকে মেরেছি। সে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেছে, আমি তো আর দোকান ফেলে চিকিৎসা নিতে যেতে পারছি না।
তবে এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানিয়েছেন আহত কুদ্দুস। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।