পাবনার ঈশ্বরদীতে পাঁকা রাস্তার পাশে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ দিতে নিষেধ করায় আসিফ মাহমুদ নামে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবক ও এনামুল হক নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আসাদুল হক আশা নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম সলিমপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী।
জানা যায়, অভিযুক্ত আসাদুল মেম্বার কয়েকদিন আগে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে বালির বস্তা দিয়ে বাধ দেয়। গত শুক্রবার দুপুরে প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার ওপর পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ ঐ এলাকা মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
ঐ দিন দুপুরে তার প্রতিবেশী বাক প্রতিবন্ধী আসিফ মাহমুদ রাস্তার পানি নিষ্কাশন করতে গেলে অভিযুক্ত আশাদুল হক সহ তার তিন ছেলে তাকে মারপিট করে আহত করেন। এসময় আসিফের বাবা আবুল কালাম আজাদ ও চাচা এনামুল হক এগিয়ে গেলের তাদেকেও মারপিট করেন মেম্বার সহ তার ছেলেরা।
আহত আসিফের পিতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ছেলে আর পাঁচ জনের মত স্বাভাবিক নয়। শুধুমাত্র রাস্তার পানি নিষ্কাশন করার জন্য তাকে পিটিয়ে বাম হাতের মাঝে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে মেম্বার ও তার ছেলেরা। আমরা এখন তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ভুক্তভোগী এনামুল হক বলেন, আসিফ কে মারধরের সময় আমি এগিয়ে আসি। এসময় মেম্বার ও তার ছেলে বাশের লাঠি দিয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে।
মেম্বার হওয়ার সুবাদে এলাকায় বিভিন্ন সময় অন্যায় ও জবরদস্তি কাজকর্ম সে করে থাকে। তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, আসাদুল ও তার ছেলেদের দাপটে এলাকায় থাকা যায় না। শুধু এ ঘটনায় না। এলাকায় মারধর, জমি জায়গা দখল সহ তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ।
তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হন নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আসাদুল হক আশা।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, ব্যাক্তিগত অপরাধের দায়ভার ইউনিয়ন পরিষদে নেবে না। কেউ যদি অপরাধ করে থাকে সে মেম্বার কেন চেয়ারম্যান হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আসতে হবে। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই ভুক্তভোগী আসিফ মাহমুদ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিলো। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশ বালুর বাধ সরানোর নির্দেশ দিলেও এখনো রাস্তার পাশে বালির বাধ সরায় নি ঐ ইউপি সদস্য।