বাস্তবে এমন ঘটনা খুবই কমই চোখে পড়ে, সিনেমায় এমন দৃশ্য বেশি দেখা যায়। তবে এবার সিনেমার মত বাস্তবেই পাবনার ঈশ্বরদীতে আসমা খাতুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে মুখোশ পড়া এক দল দুর্বৃত্তরা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আসমা খাতুন ঐ এলাকার হামিদ মালিথার স্ত্রী।
আহত আসমার ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে এবং তার বাবা হামিদ মালিথার অনুপস্থিতে মুখোশধারী কয়েকজন ব্যাক্তি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেন। এরপর দেশীয় অস্ত্রের মুখে তার (মোস্তাফিজুরের) স্ত্রী তমা খাতুনকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখায়। এসময় পাশের কক্ষে শুয়ে ছিলেন তার (মোস্তাফিজুরের) বৃদ্ধা মা আসমা খাতুন। তাকে হত্যায় উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুত্ব জখম করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তমা খাতুনে আত্মচিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলে মুখোশধারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় আসমা খাতুনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পয়ে তাৎক্ষনিক ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মোস্তাফিজুরের স্ত্রী তমা খাতুন জানান, দুর্বৃত্তদের মুখে মুখোশ ও হাতে গ্লাভস পড়া ছিলো। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিলো। তবে তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন। তারা বারবার সবাইকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলো।
আসমা খাতুনের বড় ছেলে সামছুজ্জামান জানান, তার মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে বিছানাগত আছেন। সে স্বাভাবিক চলাফেরা বা কথা বলতে পারে না। তাদের ধারনা জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই আহত আসমা খাতুনের বড় ছেলে সামছুজ্জামান বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ নয় জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।