পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় মামলাধীন কোটি টাকা মূল্যের একটি জমি জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। দাশুড়িয়া নওদাপাড়া গ্রামের মৃত আমসের দেওয়ানের ছেলে আলতাফ দেওয়ান দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন ঐ জমিটি জাল দলিল করে বেশ কিছু দিন যাবৎ তা বিক্রির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আপন ভাই মাহবুব দেওয়ান। জমিটির ওপর মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মাহববুব দেওয়ান বলেন, তিনি নাবালক থাকা অবস্থায় তাদের বড় ভাই আলতাফ হোসেন দেওয়ান ৩শতক জমি ক্রয় করার নামে হেবা দলিলে ১৯ শতক জমি রেজিস্টারি করে নেন। ২০২১ সালে রেকর্ড সংক্রান্ত ভুল সমাধান ও জাল দলিল বাতিলের জন্য পাবনা জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ করেন তিনি। মামলা টি আমলে নিয়ে আদালত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। যার মামলা নং পাবনা মোকদ্দমা নং ও.সি – ১৬২৯ /২০২১।
মামলার নথি অনুযায়ী, উল্লেখিত জমির দাশুড়িয়া মৌজার (ক) জে.এল নং ৫৭,এস.এ খতিয়ান নং ৩৩৩,দাগ নং ৫৫। আর.এস খতিয়ান নং ২০৩,দাগ নং ৪৫ (খ)এস.এ খতিয়ান নং ৩২৬,দাগ নং ৬১।আর.এস খতিয়ান নং ১৪৪,দাগ নং ৪৯ (গ)এস.এ খতিয়ান নং ৩২৭, দাগ নং ৬৫।আর.এস খতিয়ান নং ১৪৩,দাগ নং ৫৩ (ঘ) এস.এ খতিয়ান নং ২১৫,দাগ নং ৭৯। আর.এস খতিয়ান নং ১৫১, দাগ নং ৭৭। সর্ব সাকুল্যে বাদীর জমির পরিমান .১৯২৭ ১/২।
মাহবুব দেওয়ানের ও তার অন্যান্য ভাইদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় একটি সঙ্গবদ্ধ চিহ্নিত দালাল চক্রের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত জমির জাল দলিল করে বিক্রয়ের অপচেষ্টা করে আসছে। এই জাল দলিলের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকার পরও সে কিভাবে জমি বিক্রির অপচেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, আলতাফ দেওয়ান অনেকদিন আগেই তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে দেউলিয়া হয়েছেন। তিনকন্যার মা কে তালাক দিয়ে পরে আবার বিবাহ করেছেন। এই দ্বিতীয় পক্ষই তাকে এসব কুবুদ্ধি দিয়েছেন।অনেকেই না বুঝে এই জমি কিনতে অনেকেই আসেন, কিন্তু জমির উপর মামলা চলমান শুনে ও অন্যান্য ভাইদের প্রতিরোধে চলে যান।
এ বিষয়ে আলতাফ দেওয়ান বলেন, উল্লেখিত সম্পতি আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি না। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমি আমার ভাইদের নামে দিয়েছিলাম। পরে তারা আবার বিক্রয় করার সুবাদে আমি নিজের নামে ক্রয় করি। আমার ভাইয়েরা জাল দলিলের কথা বলে আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তবে তা গত সপ্তাহে প্রত্যাহার হয়েছে বলে শুনেছি। এসময় আদালতের মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।