শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম ।। বুবুর চোখে জল।। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রেমিক সেলিম কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ২০৪১ সালের আগেই পাবনা স্মার্ট জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার  ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ কুরিয়ার সার্ভিসে গাঁজা পরিবহনের সময় আটক-১ শ্যামলী বাসে আস্থা রেখে সর্বস্ব খোয়ালেন গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ পণ্যের দাম, নামমাত্র বাজার মনিটরিং এর ফলাফল শূণ্য সিলেট সদর উপজেলার নির্বাচনে ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে প্রার্থী  কাকলী বঙ্গবন্ধুর  জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত 

৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র ৩৪৬, আওয়ামী লীগ ৩৪১ চেয়ারম্যান নির্বাচিত

মুবিনুল হুদা চৌধুরী সোহাইল, জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার / ১৫৬ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:০০ অপরাহ্ণ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীদের জয়ের হার বাড়ছে। আগের ধাপগুলোতেও প্রায় সমানসংখ্যক ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে জয় পেলেও পঞ্চম ধাপে নৌকাকে পেছনে ফেলেছেন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা। এই ধাপে নৌকার চেয়ে বেশি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, নৌকা জয়ী হয়েছে ৩৪১ ইউপিতে, স্বতন্ত্র ৩৪৬টিতে, জাতীয় পার্টি ২টিতে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ২টিতে এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১টি ইউপিতে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া ১৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ফল ঘোঘণা হয়নি। আদালত ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে ২টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের সময়কে বলেন, প্রতিবারই নৌকার জয়জয়কার। এর পরেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের অবস্থান। তারাও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এই নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের নেতারা সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। এ ছাড়া অন্য দলের, কোনো ঘরানার নয়- এমন অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীয় হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নৌকা জয়ী হয়েছে, এর পরেই দলের মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এতে প্রামাণিত, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীরাও একই দলের লোকজন। নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হতে পারে। এর আগেও আমরা দেখেছি, তাদের সবচেয়ে ভালো প্রার্থী সবসময় নমিনেশন পান না। স্থানীয় পর্যায়ে যিনি জনপ্রিয়, তিনিও নমিনেশন পান না। এটা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা একটি কারণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ছিল সহিংস। তাই স্থানীয় পর্যায়ে যারা আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছেন, তারাই জয়ী হয়েছেন।’

ইসির তথ্য অনুসারে, প্রথম ধাপে গত ২১ জুনের ভোটে ২০৪টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪৮ জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন। ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ১৬০টি ইউপির মধ্যে নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচিত হন ১১৯ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ২১ জুনের ভোটে ৪৯ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর জয় পান ৩৬ জন। সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৮৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ৩৩০টিতেই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ধাপে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা ৪৮৬টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের ৯৯২টি ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে ৪৪৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ৫২৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৪৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ থাপে অনুষ্ঠিত ৮৩৬টি ইউপির মধ্যে ৩৯০টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ৩৯৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন; তাদের মধ্যে ৪৮ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ৭, ইসলামী আন্দোলন ২ এবং জাকের পার্টি ১ ইউপিতে হয় জয়লাভ করে। কিছু ইউপির অনানুষ্ঠানিক ফলাফল স্থগিত হওয়ায় সেগুলোর ফল ঘোষণা করা হয়নি।

জানা গেছে, ৫ ধাপে মোট ৩ হাজার ৭৩৪টি ইউপির অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেছে ইসি। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং ১ হাজার ৫৯৭টি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকিগুলোতে অন্য দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি ইউপির ফল অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে।

দ্বিতীয়বারের মতো দেশে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এবারে নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় অর্ধেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় প্রতীক জয়ী করার জন্য বারবার নির্দেশের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এর পরেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটে অংশ নিয়ে নৌকাকে হারিয়ে জয় তুলে নিচ্ছেন। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও মিলেছে।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মোল্লা বলেন, দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তু আমাকে নৌকা দেওয়া হয়নি। আমার জনপ্রিয়তা ও আত্মবিশ্বাস ছিল তাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছি। জনপ্রিয়তা না থাকার কারণে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে, আমি জয়ী হয়েছি।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তম ধাপে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। অষ্টম ধাপে (শেষ ধাপে) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আটটি ইউপিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন হয়। এবার হচ্ছে দশম ইউপি নির্বাচন। এর মধ্যে নবম ও দশম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!