বিশেষ প্রতিনিধি: কলরব ফাউন্ডেশনের শুরুটা হয় ২০১৬ থেকে। তখন থেকেই হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দিয়ার কলরব ফাউন্ডেশন। তাদের মূল কথা হচ্ছে – “Smile is our number one priority” অর্থাৎ হাসিই তাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
২০১৬ থেকে শুরু হওয়া এই ফাউন্ডেশন ৫ বছর পাড়ি দিয়ে এখন ৬ ষ্ঠ বছরে পা রেখেছে। করেছে ২১ টি ইভেন্ট যার মাঝে দুইটি মিশন ছিল অর্থাৎ দুইজন ব্যক্তি ও পরিবারকে তারা সচল করে দিয়েছে এবং একজন অসহায় শিক্ষার্থীর পড়াশোনার প্রতিমাসের খরচ দিচ্ছে যার বাবা & মা দুজন ই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এত কম অগ্রগতি হওয়ার পেছনের কারণ এই ফাউন্ডেশনের সকল মেম্বার শিক্ষার্থী এবং কোন ডোনার নেই তাদের। তারা নিজেরাই নিজেদের ডোনার।
গত বছর করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করেছে অনেক । করেছে তিনটি ইভেন্ট যেগুলো রিক্সাচালক, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নিয়ে। সবাইকে লকডাউনের মাঝে পাঠানো হয়েছে উপহার (চাল, ডাল, ডিম, পেঁয়াজ, আলু, তেল ইত্যাদি ইত্যাদি । প্রায় ১০০ পরিবারের ৮৫০+ জন মানুষের মুখে শুধু লকডাউনেই হাসি ফুটিয়েছে কলরব ফাউন্ডেশন।
এই বছর ২০২১ এর শুরুতে জানুয়ারি ১৬ তারিখে হয় তাদের ২০ তম ইভেন্ট,ঢাকার অদূরে অবস্থিত টংগীর “ইমাম আবু হানিফা মাদরাসায়”।যেখানে সকল শিক্ষার্থী কে ২বেলা ভরপুর খাবারের সাথে,দেয়া হয় উপহার হিসেবে পাঞ্জাবি,চকলেট, চিপস,বিস্কিট,জুস ও তাদের প্রয়োজনীয় ১মাসের বাজার।
এরপরে গত মে মাসের ৯ তারিখ করা হয় ২১তম ইভেন্ট। প্রায় ৪০০+ পরিবারে পৌছে দেয়া হয় কলরব ফাউন্ডেশন এর ঈদ উপহার। শুধু দিয়া একা নয় রয়েছে তাদের এক্সিকিউটিভ কমিটি,সেখানে প্রেসিডেন্ট ওয়াসেক মাহবুব জিশান,ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাইমিনুর রাহমান স্নিগ্ধ, সালিম সাদমান &ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোয়াদ বিন রাজ্জাক এছাড়া রয়েছে মেম্বাররা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে কলরব ফাউন্ডেশন। অতি অল্প সময়েই দিয়া সাফল্য অর্জন করেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
বর্তমানে তিনি বিবিএ তে প্রফেশনাল কোর্স করছেন ঢাকার তেজগাঁও কলেজ থেকে।পাশাপাশি একজন তরুন উদ্যোক্তা,সোসাল ওয়ার্কার।একজন মধ্যবিত্ত রক্ষণশীল পরিবার থেকে উঠে আসা এই উঠতি তরুনী প্রমান করেছেন চাইলেই আসলে কোন কাজ খুব কঠিন নয়,কঞ্জার্ভেটিভ পরিবেশে থেকেও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা যায়,মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে হাসি ফুটানো যায়। একজন মেয়েই পারে সকল বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে,দিয়ার দেখাদেখি অনুপ্রেরণা নিতে পারেন সকল মেয়েরা।
অনলাইনে প্লাটফর্মে পরিচালিত এই ফাউন্ডেশন আসলেই আলোচনার মুখ্য অংশ।৷ এজন্য প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট দের প্রশংসা বলাবাহুল্য। তরুন সমাজের জন্য জলন্ত উদাহরণ তারা। এই ৫ বছর অনেক ঝড় – ঝাপটা উপেক্ষা করতে হয়েছে ফাউন্ডেশনকে।
কারণ, নিজেদের পরিচিতদের মাধ্যমে ডোনেশন করে একটা ইভেন্ট করা অনেক কঠিন ব্যাপার তবুও সেটা সক্ষম করে তুলেছে ফাউন্ডেশনের সবাই মিলে। এভাবেই ফাউন্ডেশন অনেক দূর আগাতে চায় সবার সহযোগিতায়। কলরব ফাউন্ডেশন যে কারো সহযোগিতা গ্রহণে সর্বদা প্রস্তুত।