দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫শে)সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও পাবনা ৪ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিয়াকত আলী তালুকদার, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাহজেবীন শিরিন প্রিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু।
এসময় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম খান, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল হক পুনো, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইসাহক মালিথাসহ সভায় সাড়া, মুলাডুলি, দাশুড়িয়া, সলিমপুর, সাহাপুর লক্ষীকুন্ডা, পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি- সম্পাদক মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টু কেন সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে না জানতে চেয়ে বার বার জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুল কাদের সাক্ষরিত একটি চিঠি তারা জেলার নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন যেখানে আগামী দিনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিন্টুকে ক্ষমা ঘোষনা করা হয়েছে। ক্ষমা ঘোষনা করার পর কেন তিনি সম্মেলন পরিচালনা করতে পারবেন না বলে প্রশ্ন করেন তারা।
এসময় জেলা নেতারা বলেন উপজেলা নির্বাচনে মোখলেছুর রহমান মিন্টু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন এটা আমরা সকলেই জানি। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। তারা বলেন, মিন্টুকে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করা করলেও চিঠিতে কোথাও তাকে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ নেই। সম্মেলনের দিন এ বিষয়ে আপনারা কেন্দ্রীয় নেতাদের জিজ্ঞেস করবেন। এসময় বক্তারা বলেন, যারা দলের উপরের কমান্ড মানে না তারা দলে অনুপ্রবেশকারী।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের আগামী ২৯ তারিখের সম্মেলন সুষ্ঠ ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
বর্ধিত সভা উপলক্ষে সকাল থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ কার্যালয়েরর সামনে ভীড় জমাতে থাকেন। এসময় আওয়ামীলীগেরর দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের বারবার উত্তেজিত হতে দেখা যায়। পছন্দের প্রার্থীদের নামে তারা বার বার স্লোগান দিতে থাকেন। এতে করে শহরে এক থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। অনেকে ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।