বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিল ঈদগাঁও থানার এএসআই

ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি / ২৯৯ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:১৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়াস্থ লাল শরিয়া পাড়া এলাকা থেকে শফিউল আলম নামের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত এক আসামীকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে একই এলাকার মৃত অজি উল্লাহর ছেলে এবং দূর্নীতি ও প্রতারণা মামলার ১নং আসামি।

ঘটনাটি ঘটে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় বর্ণিত স্থানের আসামির নিজ বসত ঘরে। এ ঘটনায় বাদীর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান বাদী হয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলার ফৌজদারি দরখাস্ত ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে৷

বর্তমানে প্রবাসী নুরুল কবির বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২০/২০২০। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলও) কে৷ পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ জনকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন আদালতে। সেখান থেকে একজন নারী আসামী বাদীর সাথে আপোষ মিমাংসা করে পেলে। বাকী ২ আসামী শফিউল আলম ও নুরুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ইত্যবসরে ২নং আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন পুলিশ। এদিকে বাদীর স্বজনদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে আসামীর বসতবাড়িতে অভিযানে যায় ঈদগাঁও থানার সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আবদু রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১নং শফিউল আলম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাদীর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান ও ছেলে সায়মুন কবির বাপ্পি জানায়, আসাামী শফিউল আলমকে গ্রেফতার করার পর এএসআই আবদু রশীদ আসামীর বাড়িতে যায়। সেখানে তারা ২০/৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আসামিকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। তাদের ধারণা পুলিশ কর্মকর্তা আসামি থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই আবদু রশীদ গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আসামী শফিউল আলম অসুস্থ, তার হার্টে রিং পরানো এবং পা- ফোলা। মানবিক বিবেচনায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পা ফোলা হলে পুলিশ দেখে আসামী দৌড়তে পারলেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এএসআই আবদু রশীদ উল্টো প্রশ্ন করেন এ প্রতিনিধিকে, বলেন এই প্রশ্ন আপনি আমাকে করতে পারেন না! ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এভাবেই ছেড়ে দেওয়ার কোনো এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সিনিয়র অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।

অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই শামীম আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও একই কথা জানিয়ে বলেন, আসামি অসুস্থ, গ্রেফতারের পর কিছু একটা হয়ে গেলে দায়ভার পুলিশের উপর চলে আসবে। তবে রোগীর চিকিৎসা সনদ আনা হয়েছে। বাদীর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান জানায়, আসামী শফিউল আলম গত বছর অসুস্থ হয়ে পড়ছিল, চিকিৎসা শেষে সে এখন পুরোপুরি সুস্থ।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আসামি গুরুতর আহত কিংবা অসুস্থ হলেও ওয়ারেন্ট ভুক্ত কাউকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিতে পারে না। পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা পরবর্তী পরিপূর্ণ সুস্থ করে তাকে আদালতে সোপর্দ করতে পারে পুলিশ। তা না করে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ছেড়ে দিয়ে পুলিশ আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধ আঙুলি দেখিয়েছে৷ এ রকম পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি হওয়া দরকার মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!