কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার আদর্শগ্রামে আয়াত উল্লাহ নামের এক যুবক চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাং এর হাতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আহত যুবক হামজার ডেইল আদর্শগ্রাম এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।সে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চা দোকানে নাস্তা করে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী রিয়াজ উদ্দিন প্র. রিয়াজ (২২), তার সহোদর মহিউদ্দিন (২৩) ও তাদের চাচাত ভাই আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০) সহ আরও ২/৩ জন যুবক মিলে অতর্কিতভাবে যুবক আয়াত উল্লাহকে এলোপাতাড়ি ছুরি মারতে থাকে। এতে যুবক আয়াত উল্লাহ’র কোমর ও পিঠে গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এসময় উপস্থিত লোকজন আহত যুবক আয়াত উল্লাহকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত যুবক আয়াত উল্লাহ’র অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি বলেছেন, অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদয়ের সাথে আলাপ করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আহত যুবকের চাচা জসিম সর্দার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার ভাতিজা আয়াত উল্লাহ’র সাথে স্থানীয় মহিউদ্দিনের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় কথা-কাটাকাটি হলে স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসী আবু তাহেরের ছেলে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাং লিডার রিয়াজ, মহিউদ্দিন ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার ভাতিজা আয়াত উল্লাহকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর উপযুক্ত শাস্তি ও তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলারুজু প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী আবু তাহের ও তার ছেলেদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।