চলতি বছরে কুষ্টিয়ায় পাটের দাম সন্তোষজনক। পাটের এমন দামে কম ফলন পেয়েও পাট চাষিরা অত্যন্ত খুশি আছেন। খরার কারণে প্রতিবছরের তুলনায় এবার পাটের ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে পাটের দামের কারণে এর প্রভাব পড়েনি বলে জানা যায়।
পাটচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৮-১০ মণ পাট। এ বছর মানভেদে ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ পাট। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল মণপ্রতি ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। এতে লাভবান হচ্ছেন পাটচাষিরা। পাটের ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষিরা অনেক বেশি আনন্দিত।
উল্লেখ্য যে, পাট একসময় বাংলাদেশে সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পাটের এই বাণিজ্যিক বাজার ধীরে ধীরে থমকে দাড়ায়। ফলে চাষিরা অনাগ্রহী হয়ে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আবার এমন দাম বৃদ্ধিতে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা পাচ্ছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখ একরের অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সর্বাধিক ৪১ হাজার একক জমিতে পাট চাষ হয়েছে দৌলতপুর উপজেলায়। জন-মানুষের মন্তব্য হলো পাট চাষিদের জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনাসহ নানাবিধ উদ্যোগেই পাটের বাজারের এমন উন্নতি।