প্রশ্ন উঠতে পারে, কী করতে পেরেছে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লক্ষ আলেমের ফতোয়া? এই ফতোয়া বিশ্বব্যাপী শান্তি ও মানবতার পক্ষে একটি আওয়াজ তুলতে পেরেছে। এ কণ্ঠস্বর পৃথিবীর বিবেকের কণ্ঠস্বর । এ আওয়াজ হযরত আদম (আ.) থেকে নিয়ে আখিরী নবী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে মানুষের কল্যাণকামী তাদের মহান অনুসারী ও উত্তরাধিকারীগণ যে খায়রখাহীর, কল্যাণময়ীতা ও শান্তির আওয়াজ দিয়েছেন তার সাথে একাত্ম। এই একাত্মতাই বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা-এর ঐতিহ্য, এই একাত্মতাই বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা- এর গৌরব।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা জানে তার আওয়াজ শাশ্বত এক অযুত আওয়াজের মহা প্রতিধ্বনি। সে ঐতিহ্যের শক্তি আহরণ করে ভবিষ্যতের মাঝে বিতরণ করে। আগামী প্রজন্মের স্তর অতিক্রম করে আরো অযুত লাখো প্রজন্মের কণ্ঠে তার প্রতিধ্বনিকে ছড়িয়ে দিতে চায় সে। সুতরাং বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এক ঐতিহ্য, এক আন্দোলন, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এক ইনস্টিটিউশন। মহান সাহাবী মসীহুল উম্মত হযরত আবুযর গিফারী (রা.)-এর কণ্ঠের অনুকৃতিতে বলতে চাই, ‘আমার গলায় যদি ছুরি চালিয়েও দেয়া হয় আর এতটুকুন মুহূর্তেও যদি আমি সত্যের একটি বাণী পৃথিবীবাসিকে জানিয়ে যেতে পারি তবু তা জানিয়ে যাব।’