সড়কের দুই পাশে কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এ সময় সড়কটির কোথাও কার্পেটিং চোখে পড়েনি। সামান্য বৃষ্টি হলে, মাটি আর পানি মিশে পুরো সড়ক কাদায় ভরপুর হয়ে আছে। কোনো যানবাহন চলাচল করলেই গাড়ির চাকায়, শ্লীপ ও ব্রেকফেইল করে থাকে ।শহর থেকে ভাড়ায় আসা ব্যক্তিগত গাড়ির চালক সুজন মিয়া গাড়ি থামিয়ে বলেন, ‘আগে জানলে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিলেও এই রাস্তায় আইতাম না। একটু ভালো কইরা লেইখেন ভাই, যাতে সড়কটার একটা গতি হয়।’উপজেলার মাতুরতল গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নিজাম উদ্দিন বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ও গ্যাস নেওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করে আসছিলেন গত ১ সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় কাদায় গাড়ির চাকা শ্লীপ করে দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি চলাচল বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য। আংগারজুর গ্রামের এক ব্যবসায়ী বলেন, মাটি ও পাথর বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে সাত বছর ধরে সড়কটির এই হাল। কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গুণগত মানের হয়নি । একই গ্রামের আরেক ব্যাক্তি বলেন, ভাঙাচোরা সড়কে দিন-রাত ট্রাক চলাচলের কারণে বছরের প্রায় আট মাসই তাঁদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ধুলার কারণে সড়কের দুই পাশের বাসিন্দাদের বাড়িঘরে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ধুলার প্রভাব এতটাই যে পুকুরের পানি পর্যন্ত কর্দমাক্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানগণের কাছ থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়কে ট্রাকে মাটি বহন নিষিদ্ধ হলেও মাঠি ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। এরপরও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আইনটির যথাযথ প্রয়োগ হলে সড়কটির এমন বেহাল দশা হতো না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এলজিইডির সড়কে চলাচলকারী মাটি বহনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে না। এই রাস্তায় অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধ করা ও রাস্তা মেরামতের জন্য খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জোড়ালো দাবি জানাচ্ছেন উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।