শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

জাল ভোট, সংঘর্ষ ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সিলেটের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

মো. রনি মিয়া, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি / ২৫০ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

জাল ভোট, প্রভাব বিস্তার, সংঘর্ষে ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো নিস্প্রাণ দেখা গেলেও এবারের ইউপি নির্বাচনে কিছুটা প্রাণ দেখা গেছে। এ চিত্র জাতীয় বা অন্য কোন নির্বাচনে দেখা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সিলেট জেলার সদর উপজেলার ৪টি, বালাগঞ্জের ৬টি, কোম্পানীগঞ্জে ৫টি, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ১০টি, দোয়ারাবাজারের ৯টি, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের ৫টি, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের উপচে পড়া ভীড়। বিশেষত নারী ভোটারদের উপস্তিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে এ উপস্থিতির মাঝে আতংকও ছিল।

সিলেটে জেলার সদর উপজেলার মোগলগাঁও ও কান্দীগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাল সরকার দলীয় কর্মীরা জাল ভোটসহ কিছু সংঘর্ষ হয়েছে এতে আহত হয়েছেন কিছু ভোটার।
সুনামগঞ্জে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। জেলার দোয়ারা-ছাতকে আগেই সহিংসতার আভাস পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে চরমহল্লা, জাউয়া ও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের অনেক কেন্দ্রে সরকার দলীয় লোকেরা ভোটারদের মাযে আতংকের সৃষ্টি করে যাতে করে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পায়।
ভোট শেষে চরমহল্লা ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত কিছু বাড়িতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে সরকার দলীয় পরাজিত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী কদর মিয়ার সমর্থকেরা। মৃত ফজলুল হকের ছেলে মোঃআশরাফুল হক,সহ বেশ কয়েক জন।
ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের সরকার দলীয় চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিজয় মিছিলের নামে বিরোধী দলীয় কিছু বাড়িতে হামলা চালায়।
বড়চালের মুসলিম খানের বড়িতে এবং পলিরগাও,খিদ্রা,দিঘলী সহ কিছু এলাকায়। দোলায় বাজার ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ তুহিনের উপর নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যানের সমর্থকর হামলা চালায়।

সব চেয়ে মজার ঘটনা ঘটেছে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভোট দিতেছেন আলোচিত মৃত দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তকিপুর হাউলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তারা ভোট দেন।
তবে ভোটের দিনও তাদের পড়তে হল দুই ঘণ্টার চরম ভোগান্তিতে।
ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ভোট প্রদানে বাঁধা দেন। পরে ছাতক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের সংশোধনী কাগজপত্র দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার পর তারা ভোট দিতে পারেন। ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো ওই দুই ব্যক্তি হলেন ছাতক উপজেলার দিঘলী গ্রামের মো: কমর আলী(৪৩), ও তার চাচাত ভাই আলী আহমদ(৩৯)। তারা একই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!