ইতিপূর্বে কুষ্টিয়া পৌরসভা সার্ভেয়ার মান্নানের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট চাকরির অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। মান্নান দাবি করে সে ‘দি ইস্টার্ন মর্ডার্ন সার্ভে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে সার্ভে কোর্স করেছে। এই নামে কোনোদিন কোনো সার্ভে ইনস্টিটিউট ছিল না। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সার্ভে ইনস্টিটিউট এর তালিকায় এ ধরণের কোনো সার্ভে ইনস্টিটিউট নেই।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ২৯ আগস্ট ২০২১ স্মারক নম্বর: ৪৬.০০.০০০০.০৬৩.২৭.০০১.১৪.৭৩০ মূলে উপপরিচালক স্থানীয় সরকার, কুষ্টিয়া মৃনাল কান্তি দে’কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন, কিভাবে মান্নান জাল সনদে ২৪ বছর সরকারী চাকরি করতে পারছে? কিভাবে এতবছরেও অন্য কোন পৌরসভায় বদলি হলো না?
মান্নান বাড়াদী আল্লারাখা দোতালা মসজিদের সামনে সোনা মিয়া মার্কেটে অবৈধ অফিস খুলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে সহজ সরল জনগণকে বোকা বানিয়ে জিন্না, সুজন, আলমগীর, মিলন, হান্নানসহ আরো অনেক সন্ত্রাসীদের দিয়ে ক্যাডার বাহিনী তৈরী করে সন্ত্রাস ও বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে? তার ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।
স্থানীয় জনগণ এবং ভুক্তভোগীদের আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে ভুয়া সার্ভেয়ার মান্নানের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থেকে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। মান্নান ও তার ভাই হান্নান এবং কন্যার নামে যতগুলো ব্যাংক একাউন্ট আছে তার হিসাব তলব করে এবং স্থাবর সম্পত্তির হিসাব নিলেই অবৈধ আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডের বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভায় কর্মরত থাকা অবস্থায় কিভাবে সে চট্টগ্রামে সার্ভে ইনস্টিটিউটে গিয়ে কোর্স করে আসলো তা কুষ্টিয়া পৌরসভার হাজিরা খাতা, স্যালারি শিট এবং জাল সনদটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বা ভূমি জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাই করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, কেন আনোয়ার আলীর মত জননেতা এইসব রাষ্ট্রবিরোধী প্রতারণাকে প্রশ্রয় দেবেন? কেন তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়া হবে না? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রশ্ন এবং বিচার দাবি কুষ্টিয়াবাসীর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানের স্ত্রীর নামে মামলা করেছে দুদক। দুদকের মামলার পর মান্নান স্ত্রী নিয়ে বাড়ি থেকে পলায়ন করেছে বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়ার জননেতা মাননীয় সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফের কাছে স্থানীয় জনগণ এই অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এবং দুদক যেন শেষ পর্যন্ত এই মামলায় দোষীদের শাস্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যায় সেই আবেদন জানিয়েছে।