‘ট্রাভেলেটস অফ বাংলাদেশ’ ভ্রমণকন্যা শুরু হয় ২০১৬ সালে, ২৭ নভেম্বর। এই সংগঠনের মূল উপদেষ্টা ডা. দিপু মনি শিক্ষামন্ত্রী। প্রতিষ্ঠা করেন ডা. সাকিয়া হক এবং ডা. মানসী সাহা।
এই সংগঠনটি নারীদের ভ্রমণ গ্রুপ হিসেবে শুরু হয় যার এখন ৬০ হাজার সদস্য। এরপর নারীদের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম, নারীর চোখে বাংলাদেশ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ৪ জন ভ্রমণকন্যা ২টি স্কুটি নিয়ে ৬৪ জেলায় ছুটে বেড়ান এবং সেই জেলাটি ঘুরার পাশাপাশি, প্রতি জেলায় অন্তত একটি স্কুলে কথা বলেন।
* বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ
* খাদ্য, পুষ্টি, পরিবেশ
* বয়সন্ধিকালীন সমস্যা এবং
* আত্মরক্ষা নিয়ে।
প্রায় ২৩০০০ হাজার মেয়েকে সচেতন করে এই কার্যক্রম শেষ হয় প্রায় দুই বছর পর।
এরপর সকলের অনুরোধে নারীর চোখে বাংলাদেশ বর্ধিত কার্যক্রম নামে আমরা পুনরায় শুরু করি। কিন্তু করোনার কারণে দুই মাস করেই আবার প্রজেক্ট বন্ধ করতে হয়।
এরপর এবার, ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে এবং সকলের সচেতন করতে ভ্রমণকন্যারা ৫ বছরের পরিকল্পনা শুরু করে, ‘Gender Equity and Empowerment Programme’ নামে। তাদের টার্গেট প্রতিমাসে প্রতি বিভাগে অন্তত দুইটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সচেতন করা। তাই শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ২টি স্কুল সিলেক্ট করে।
আব্দুল হাকিম স্মৃতি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং তারাগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ ওয়ার্কশপ করানো হয় আজ। উক্ত ওয়ার্কশপে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও পরিবেশ, নারীর আত্মরক্ষা, নারীর স্বাস্থ্য, নারীর সচেতনতা এবং নারীদের ভ্রমণ সম্পর্কে ওয়ার্কশপ করিয়েছেন। উক্ত ওয়ার্কশপে বিশেষ কুইজের ব্যবস্থা করেছিলেন শেরপুরের ভ্রমণকন্যারা। উক্ত ওয়ার্কশপ করিছেন অরাবিয়া তানজিল নিশি, শাহ জোবায়ের পলাশ, আয়েশা সিদ্দিকা ও নিশাত তাসনিম প্রভা।
এই সংগঠন এর আরও দুইটি উদ্যোগ হচ্ছে ভ্রমণকন্যার ঘর এবং শিক্ষণ। শিক্ষণ থেকে মেয়েদের বাইসাইকেল, বেকিং, কম্পিউটার ইত্যাদি শিখানো হয় এবং ভ্রমণকন্যার ঘর হচ্ছে হুট করে পরীক্ষা বা প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা বা অন্যান্য শহরে এসে থাকার জন্য সুরক্ষিত ঘর।
সবশেষে ভ্রমণকন্যারা জানায়, তারা যে ওয়ার্কশপের জন্য নালিতাবাড়ী এসেছিল সেই ওয়ার্কশপ তাদের সফল হয়েছে।