বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম

পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর ইবি

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি / ২৬৭ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১, ৬:২৬ অপরাহ্ণ

শীত আসলেই দেশে পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে। পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতেই ইবির লেকে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা নানা প্রজাতির এসব পাখি আশ্রয় নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকায়। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবং মানুষের বিচরণ কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পাখি এসেছিল গত বছর। এ বছরও অনেক বেশি পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে ক্যাম্পাসে।

 

 

সাধারণত প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হিমালয়ের উত্তরে প্রচন্ড শীত নামতে শুরু করে। শীত সহ্য করতে না পেরে এসব পাখি চলে আসে বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। দেশের যে কয়টি জায়গায় পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে তার মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক অন্যতম।

ক্যাম্পাসের লেক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিযায়ী পাখিরা জলকেলিতে মেতে উঠছে। কিছু পাখি পালকের ভেতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। কিছু আবার হঠাৎ করেই ডানা মেলছে আকাশে। এক ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে, তো আরেক ঝাঁক এসে বসছে। পাখিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে উঠছে পুরো ক্যাম্পাস।

গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকায় আসছে পরিযায়ী পাখি। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়। ক্যাম্পাসের লেকে আসা ছোট সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুঁনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোঁড় যে কারো হৃদয় জুড়াবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিযায়ী পাখিদের দেখে উচ্ছ্বসিত হন। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন পরিযায়ী পাখি দেখতে। সকালবেলা শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকে হাঁটতে বের হন ক্যাম্পাসে। এসময় পাখিদের কলকাকলি আর জলকেলি মুগ্ধ করে তাদের। আর শীতের সোনামাখা রোদ যখন পাখিদের বাহারি রঙের ডানায় ভর করে, তখন সৌন্দর্য্য বেড়ে যায় বহুগুণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমাতুজ জোহরা ইরানী বলেন, ক্যাম্পাসে হাটতে বের হয়ে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। বাহারি রঙের এসব পাখিরা দেখতে সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোলবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, পরিযায়ী পাখিরা আমাদের পরিবেশের জন্য সম্পদ। পরিবেশের বৈচিত্র্যতা ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পরিযায়ী পাখিরা আমাদের প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ। এসব পাখি পরিবেশের শোভাবর্ধন করে। ইবি ক্যাম্পাসে আগত পাখিদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!