বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম

পা দিয়েই সব জয় করতে চায় শেরপুরের মেয়ে সুরাইয়া

মিনহাজুর রহমান মুগ্ধ, শেরপুর / ৩৬২ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১, ৫:২২ অপরাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, এক ছাত্রী মেঝেতে বসে পা দিয়ে বৃত্ত ভরাট করছেন।

১৮ বছর বয়সী এই পরীক্ষার্থীর নাম সুরাইয়া। বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার আন্ধারিয়া সুতির পাড় গ্রামে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পড়ালেখার প্রতি আগ্রহের কারণে ছোট থেকেই চেষ্টা করতে থাকেন দুই পা দিয়ে লেখার। এভাবেই আন্ধারিয়া সুতির পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৪ পেয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর আন্ধারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সলে জেএসসিতে জিপিএ-৪ ও ২০১৮ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৪ দশমিক ১৭ পান। এইচএসসি পাস করেছেন ২০২০ সালে শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রি কলেজ থেকে। এতে পেয়েছেন জিপিএ-৪।
ভাঙা ভাঙা ভাবে সুরাইয়া আমাদের জানান। তার মা বলে দেন মেয়ে বলছে, ‘আমি ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হতে চাই।’
এই ইচ্ছাকে পূরণ করতেই ছুরাইয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া।

প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়ায় প্রথমে সুরাইয়াকে বোঝা মনে করতেন বাবা ছফির উদ্দিন ও মা মুর্শিদা ছফির। তবে মেয়ের অদম্য চেষ্টা ও ইচ্ছাশক্তি দেখে তাদের চিন্তাভাবনাতেও পরিবর্তন আসে। তারা মনে করেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে তাদের মেয়ে অনেক বড় হবে।
মায়ের আশা, প্রতিবন্ধী কোটায় হলেও যেন মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

সুরাইয়ার চাচাত বোন মরিয়ম আক্তার আমাদের বলেন, ‘আমরা প্রথমে মনে করতাম এই মেয়েটার ভাগ্যে ভালো কিছু নাই। কী আর করতে পারবে এভাবে? শুধু শুধু বাবা-মার কষ্টই বাড়বে।
‘তবে এখন মনে করি ওর ইচ্ছাশক্তিই আশীর্বাদ হয়ে গেছে। আশা করি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসবে। মেয়েটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

প্রতিবেশী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রতিবন্ধী মেয়েডারে দেইখা আমরা মনে করতাম এডারে দিয়ে কী করব? এহন দেহি ও অনেকখানি নেহাপড়া কইরা ফেলাইছে।’

জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা জানতে পারলাম দুই পায়ে লিখে প্রতিবন্ধী সুরাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা আশা করছি সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে। কারণ কারো সাহায্য ছাড়া দুই পায়ে লিখেই সে এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা ওই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সব ধরণের সহযোগিতা করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!