মোছাঃ নাজমা খাতুন (২৩), পিতা-মো. মিজানুর রহমান, সাং-আনসারবাড়িয়া, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ সোহাগ হোসেন (৩২), পিতা-মো: শামীম হোসেন, সাং-দশমী, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গার অনুমান ৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে মোঃ সোহাগ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে নাজমা খাতুনকে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার করতে থাকে। নাজমার পিতা-মাতা বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা এবং আসবাবপত্র মেয়ের সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে পাঠায়। তবুও অত্যাচার কমে না। শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শতকষ্ট সহ্য করে নাজমা সংসার করছিলেন।
একপর্যায়ের
নাজমা তার স্বামী ও তার পরিবারের নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার শিশু কন্যাকে নিয়ে পিতার বাড়ীতে চলে আসে এবং সন্তানকে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), চুয়াডাঙ্গার অফিসার ইনচার্জ জনাব মাহাব্বুর রহমান এবং এএসআই আহসান কবির এর মাধ্যমে অদ্য ১৩.১০.২০২১ খ্রিঃ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। চুয়াডাঙ্গার মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ সোহাগ হোসেন তার স্ত্রী নাজমাকে নিয়ে সব বিবাদ ভুলে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মোছাঃ নাজমা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।