শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মুবিনুল হুদা চৌধুরী সোহাইল, কক্সবাজার / ২১২ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২, ৯:৪০ অপরাহ্ণ

বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিটেবাড়ি কেড়ে নিতে লোভের বশবর্তী হয়ে উক্ত পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করেন বিভিন্ন রকমের মাদকদ্রব্য সরবরাহকারী স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা অন্তর্গত ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ  পাহাঁশিয়া খালীতে স্থানীয় গাজা, মদ, হিরুইন, ইয়াবা সহ বিভিন্ন প্রকৃতির মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা তাদের নিজের সৌদি প্রবাসী নিরীহ বয়োবৃদ্ধ  চাচা আমানুল হক কে দিন দুপুরে রাস্তায় পিটিয়ে ৫০বছরের ভোগদখলী জমি তাদের বাহুবলের মাধ্যমে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে জুলুমি করে কেড়ে নিয়েছে ওই তিন ভাই।
তারা হলেন-
 (নিয়াজুরহমান, একরাম ও জিয়াউর রহমান পুতুইয়া) ।
এবং উক্তস্থানে তারা নামে মাত্র টিনের ছাউনি মুড়ানো নিয়াজুর অবৈধ মালিকানাধীন ছোট মুদির দোকান স্থাপন করে, ঐ দোকানের ভিতরে দিনরাত বখাটেদের উশৃঙ্খল আড্ডা ও হৈচৈ এ-র কারনে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারনে সমাজে বসবাসরত পার্শ্ববর্তীদের জীবনযাপনে খুবই অসুবিধের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
উক্ত দোকানে নেশা সেবন, অনৈতিক কাজ পরিচালনা সহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সরবরাহ করে এবং দিনের বেলায় ইয়াবা সেবন করে দোকানের ভিতরে কয়েক জন ঘুমিয়ে থাকে প্রায় সময়, যার জন্য স্কুল/কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠশালার যেতে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এবং ছাত্রীরা উক্ত স্থানে যে কোন সময় ইভটিজিং এ-র শিকার হওয়ার আশংকায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কোনভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করে কারন ওদের বিচার করবে এমন কেউ জন্ম হয়নি এ-ই পাহাঁশিয়া খালী গ্রামে। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে
দিনের পর দিন গ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়ায় এবং।তাতে সামাজিক ভাবে বাধা দেওয়ায় এবার তারা টার্গেট করেছে উক্ত দোকানের পাসে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতভিটাও অবৈধ ভাবে দখলে নিতে যেমনটি নিয়েছিল তাদের চাচা আমানুল হকের ভোগদখলিয় জমিটা।
উল্লেখ্য যে এ-র আগেও তাদের আরেক চাচা দুস্ত মোহাম্মদ বাড়ী করার সিন্ধান্ত নিলে ওরা ৩ভাই মিলে দুস্ত মোহাম্মদকে  পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার হতে বঞ্চিত করে ভিটে ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।
দফায় দফায় বিচার- সালিসে বসে ও শত লাঞ্চনার মধ্যদিয়ে
 গ্রামের সচেতন কিছু মানুষের সহযোগিতায় আজ নিজ জায়গাটা রক্ষা করে কোনভাবে দালান করতে সক্ষম হয়েছেন দুস্ত মোহাম্মদ ।
ওরা এত বেশি বেপরোয়া যে, বড় রকমের  যেকোন অপরাধ / অনৈতিক কাজ করতে কোনরুপ পরোয়া তারা করেনা। এবং গ্রামে তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর সাহস আজ অব্দি কারোর নেই বল্লে চলে।  উল্টো তাদেরকে টাকা ও অপকর্মে প্ররোচনা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে একই শ্রেণির কিছু সদস্য মিলে গঠিত সিন্ডিকেটদয়।
দেশ রক্ষায় নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থাদের মাধ্যমে তদন্ত করলে তাদের হাজারো অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে।
ওরা এত বেশী কৌশলী যে কাউকে ফাঁসাতে তাদের ইচ্ছা মত মিথ্যাচার করে আজগুবি গল্প বানিয়ে চরিত্র হনন করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনা। এমনকি কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে চোট ভাই তার নিজের আরেক ভাই নিয়াজুর হাতের তিন আঙ্গুল কেটে নেওয়ার মতো নেকস্কার জনক কাজ করতেও পিছিয়ে যায়নি।
নিজ পরিবারের প্রতি
জিয়াউর রহমান পুতুইয়ার দাবি তার ৭ নম্বর বউটিও তার ছোটভাই একেরামের বৌ জুসনার প্ররোচনায় তালাক হয়ে যায় এবং তার কাবিন নামায় বাকী দেনমোহরের ১লক্ষ টাকা জরিমানা তাকেই অর্থাৎতার ছোট ভাই একরাম এর স্ত্রী জুসনাকে দিতে হইবে।
নয়তো জিয়াউর রহমানের চাপে তার ছোটভাই একেরাম জুসনাকে তালাক দিতে বাধ্য হবে।
পুতুয়ার এমন দাবির মুখে চাপে পড়ে
 নির্যাতনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষায় নিরাপদ উপায় হিসাবে
গুপনে জুসনার স্বামী একেরাম ও বড়ভাই  নিয়াজু ঈদগাঁও থানায় গিয়ে তাদের মেঝ ভাইকে সন্ত্রাসী প্রমান করতে এক পর্যায়ে তার ৩ অাঙ্গুল বিহীন হাতটি পুলিশকে দেখিয়ে ঈদগাঁও থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে রাখেন।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেননি তারা কারন পুতুইয়া জানতে পারলে তাদের কোন সমস্যা হওয়ার ভয়ে।
 ২৪.০৩.২০২২ তাং বৃহস্পতিবার  ১২ টার সময় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে মৃত মোস্তফা কামালের বিয়ে করা ৮ জন বৌয়ের তালিকায় ২য় স্ত্রীর সন্তানেরা একত্রিত হয়ে তারা ৩ ভাইয়ের কাছে হামলার শিকার হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবার। এমনকি তারা প্রতিনিয়ত এদেশের সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অকথ্য ভাষায় নগ্নভাবে গালিগালাজ করে তাদের যখন যেমন ইচ্ছে মতো।
তাদের মধ্য হতে ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ পাহাঁশিয়া খালীর মাটিতে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার বসবাস হবেনা বলে জনসম্মুখে চিৎকার করে বলেন একেরাম। তাদের মধ্যে বিশেষ করে জিয়াউর রহমান প্রকাশ পুতুইয়া আরো বলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের একেকজনের হাত কেটে নিবে।
একরাম চিৎকার করে খুব নগ্ন ও বিশ্রী ভাষায় বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মেরে গুম করবে অথবা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিবে বলে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার গলা ধরে ধাক্কা-ধাক্কির মতো কার্যকলাপ করার মতো সাহস দেখাতেও এরা নিজেকে কন্ট্রোল করেনি তাদের উদ্দেশ্য মেরে ফেলবে একপর্যায়ে এমন হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত  হয়ে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জীবন বিপন্ন সহ নিজ ভিটে জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় ঈদগাঁও থানা প্রশাসনের দারস্থ হয়ে ঈদগাঁও থানার অধীনস্থ সকল মুক্তিযোদ্ধা / মুক্তুিযোদ্ধার সন্তানদের সহযোগিতায় উক্ত সন্ত্রাসীদের  বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি ঈদগাঁও থানা পুলিশের কাছে তাদের উপর প্রতিনিয়ত গালিগালাজ ও সংগঠিত নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার পাওয়ার আবেদন জানান


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!