হঠাৎ করে গত রাত সন্ধ্যা ৬টা থেকে আচমকাই তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বর্তমানে সকাল ১০টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার থাকলেও মাত্র ৩ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভেঙে দিয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাট বাইপাস সড়ক। তার কারণে তিস্তা ব্যারেজ কিছুতো শঙ্কামুক্ত হলেও ভাটিতে বিপদের শঙ্কায় গড্ডিমারী ইউনিয়ন সহ আরও পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রভাবে লালমনিহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সব কয়টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি। ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ডিমের ইউনিয়ন। ইউনিয়নে কয়েকটি পাকা রাস্তা আছে, সব রাস্তা ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে অনেক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে।
পানির তীব্র গতির কারণে গড্ডিমারী ইউনিয়ন ও সিংগীমারী ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তার উপর দিয়ে কোমর পরিমাণ পানি তীব্র গতিতে পার হচ্ছে। যার কারণে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এই দুটি ইউনিয়নে। ভাঙ্গনের কারণে বিপাকে কৃষি ফসল। আমন ধানের মৌসুম ধান পাকা পাকা অবস্থায় এই সময় বন্যা হয়। কৃষকদের সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল আমাদেরকে জানান, গড্ডিমারী ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের সব কয়টি ওয়ার্ড পানির নীচে তলিয়ে গিয়েছে মানুষের আহাজারি দেখার সীমা নাই। এলাকার মানুষগুলো খুব দুঃসময় সময় কাটাচ্ছে। তাই সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাই। সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া হবে এবং সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাচ্ছি। যাতে এই মানুষগুলো দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারে।