কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পীতভাবে গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। চরফ্যাসন উপজেলার পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড হরিবাড়ি সংলগ্ন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সমির চন্দ্র মজুমদারের বাসা থেকে শনিবার (৫মার্চ) রাত ২টায় চরফ্যাসন থানাপুলিশ বরহান উদ্দিন উপজেলায় কর্মরত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনের স্ত্রী শাসতি রায় চৈতি’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওই গৃহবধূ একই এলাকার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর সমির চন্দ্র মজুমদার ও স্বামী মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে বলে উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান জানান। তিনি বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাসিত রায় চৈতি’র সিলিং ফ্যান থেকে শাড়ি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। এটি একটি পরিকল্পীত হত্যা দাবি করে ওই গৃহবধূর পিতা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আমার মেয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী। সমির চন্দ্র’র ছেলে শাওনের সঙ্গে এক বছর পূর্বে আমার মেয়েকে বিয়ে দেই। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর,শ্বাশুরি ও স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে যৌতুকের দাবি করে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারা যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরিকল্পীতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি দেশের প্রচলীত আইনে এ হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই। এদিকে আটকাধীন শ্বশুর সমির চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশি মেয়ের বিয়ে হলে শুক্রবার তাকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার ছেলে শাওনের সঙ্গে তজুমদ্দিন উপজেলায় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে পুত্রবধূ যেতে চাইলে ভাঙা রাস্তার কারণে আমার ছেলে তাকে নিয়ে যায়নি। স্বামী শাওন মুজমদার বলেন, আমি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১টায় বাসায় ফিরে একাধীকবার দরজা কলিং বেল বাজানো পরে ও সারা না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি সে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলার এজেহার জমা দিয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। চরফ্যাসন থানার ওসি তদন্ত রিপন সাহা বলেন,ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ভোলায় ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।