রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হয়েছে রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায়। চারটি ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখতে ও জনসভায় অংশ নিতে ভোর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে জনসভাস্থল অভিমুখে। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপ, ভটভটি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে রাজশাহী আসেন তারা। পায়ে হেঁটেও দলে দলে জনসভাস্থলে যোগ দিয়েছে মানুষ।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনসমাগম। মাদরাসা মাঠমুখী জনস্রোত থেকে স্লোগানে-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগর। স্লোগানে প্রাধান্য পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনী বার্তা। দুপুর ১ টার দিকে রাজশাহী জনসভা স্থলে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন পাবনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস ও তার পুত্র তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস।
রাজশাহী লক্ষীপুর মোড় থেকে দোলন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বর্নাঢ্য শোভা যাত্রা নিয়ে নেতাকর্মীরা সভাস্থলের দিকে যাত্রা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপির ব্যবস্থাপনায় আট বগির একটি স্পেশাল ট্রেনে করে ঈশ্বরদী রেলস্টেশন থেকে রাজশাহী যান নেতাকর্মীরা। পরে সকাল ১১ টায় অর্ধশত প্রাইভেটকার, হাইস, ও বাসের বিশাল বহর নিয়ে এমপি পুত্র দোলন বিশ্বাস রাজশাহী উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের জনগণের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। সেজন্য ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন তারা। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দুপুর হতে না হতেই জনসভাস্থল মাদরাসা মাঠ ছাপিয়ে জনতার ঢল পাশের পদ্মাপাড়ে গড়ায়। পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। মাইকে প্রচার করা হয় ভাষণ। নগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয় বড় পর্দা। সেখানেও সরাসরি প্রচার করা হয় জনসভা।