শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন

লাখো লোকের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের জুলুসে লোকে লোকারণ্য- আল্লামা পীর শাবির শাহ

সেলিম চৌধুরী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি / ২০৪ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১, ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

লাখো লোকের অংশগ্রহণ এবং লাখো মানুষের হামদ-নাত আর দরুদে মুখর পরিবেশে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।

সরেজমিনে দেখা যায়, এবার প্রথমবারের মতো জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন হজরতুল আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বের হয় পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর (সা.) জশনে জুলুস। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় মুরাদপুর বিবিরহাট প্রদক্ষিণ করে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে ফিরে আসে জুলুসটি। এরপর মাহফিল শুরু হয়। সবশেষে করোনামুক্তি ও বিশ্বশান্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হবে। জুলুসকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরজুড়ে। জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে নগরের মোড়, সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজক।প্রতিবছরের মতো এবারও জুলুসের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভোর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি (বায়েজিদ) মো. শাহ আলম বলেন, জুলুসকে ঘিরে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছেন। আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জুলুস শুরুর আগে সাংবাদিকদের বলেন, আল্লামা তৈয়ব শাহ (রা.) ১৯৭৪ সালে এ জুলুসের প্রবর্তন করেন। আমরা এ জুলুস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের এবারের বার্তা হচ্ছে মানুষের প্রতি ভালোবাসা। করোনাকালে আপনারা দেখেছেন গাউসিয়া কমিটি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের দাফন কাফন ও সৎকারে সহযোগিতা করে আসছে।

আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন বলেন, দেশ, জাতির উন্নতি, বিশ্ব শান্তি ও করোনামুক্তির জন্য দোয়া করা হবে জুলুসের মোনাজাতে। গাউসিয়া কমিটির অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও জুলুস সফল করার জন্য আমরা পীরভাই, সুন্নি জনতা, প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এ জুলুস সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনবে দেশে। জুলুস ও মাহফিলকে ঘিরে মুরাদপুর থেকে জামেয়া পর্যন্ত বই, টুপি, তসবিহ, মেসওয়াক, পাঞ্জাবি, স্যান্ডেল, মোবাইল ফোনের সরঞ্জাম, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছাডাও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ অংশ গ্রহণ করে। দেখে মনে হয় সারা চট্টগ্রাম জুলুসের নগরী সাধারণ মানুষের অভিমত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!