মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  জীবনের জয়গান মানব কল্যান সংস্থার উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ ক্লাব আইজিয়ান এর উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত  আওয়ামীলীগ হত্যায় উৎসাহী দল– ঈশ্বরদীতে রুহুল কবির রিজভী  ঈদ উপলক্ষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া  ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম ।। বুবুর চোখে জল।। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রেমিক সেলিম কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ২০৪১ সালের আগেই পাবনা স্মার্ট জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার 

লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হোটেল বয় কালীগঞ্জের শিক্ষার্থী সঞ্জয়

লালমনিরহাট প্রতিনিধি / ৩০৪ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

দেশে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজ করছে। ডা. চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী সঞ্জয় সরকার (১৩) নিজ লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে কাজ করছে একটি চায়ের স্টলে। সঞ্জয় সরকার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং ভোটমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ব্যাঙ্গেরহাট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ধীরেন চন্দ্র সরকারের ৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে মেজ সন্তান সঞ্জয় সরকার।

৬ অক্টোবর (বুধবার) উপজেলার ভূল্ল‌্যারহাট বাজারে প্রতিদিনের ন্যায় সঞ্জয় সরকারকে একটি চায়ের স্টলে কাজ করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থী সঞ্জয় সরকার জানান, অনেকদিন থেকেই স্কুল বন্ধ তাই আমি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে রোজগার করি। এখন স্কুল খুলেছে সপ্তাহে একদিন স্কুল খোলা থাকে তাই আমি ছয়দিন কাজ করি একদিন স্কুলে যাই। আমি সকাল ৯টা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৩২০ টাকা পাই। তা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারকে সহায়তা করি আমি। এতে আমার লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটলেও দারিদ্রতার কষাঘাতে এভাবেই আমাদের জীবন পার করতে হয়।

সঞ্জয় সরকার একজন হোটেল বয় হিসেবে এখন সর্বত্র পরিচিত। অর্ডার অনুসারে টেবিলে খাবার পৌঁছে দিতে হয় হোটেলের সেবা নিতে আসা মানুষকে আপন করাই এখন তার দায়িত্ব। এরমধ্যে একটু পান থেকে চুন খসলেই শুনতে হয় বকাঝকা আছে চরম ব্যস্ততাও। দিনশেষে সঞ্জয়ের চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও মনোবল তার দৃঢ়। টিকে থাকার সংগ্রামে সে যেন অগ্রণী সৈনিক।

সঞ্জয় সরকার সকলের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ চেয়ে বলেন, দারিদ্রতার কষাঘাতে আমি বাধ্য হয়ে এই শিশু বয়সে হোটেল বয়য়ের কাজ করছি। হোটেলে কাজ করতে গিয়ে আমার লেখাপড়ার সমস্যা হয়। লেখাপড়া করে আমি একদিন মানুষের মতো মানুষ হতে পারি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!