শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান মরিয়ম বেগম ।। বুবুর চোখে জল।। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রেমিক সেলিম কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ২০৪১ সালের আগেই পাবনা স্মার্ট জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার  ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ কুরিয়ার সার্ভিসে গাঁজা পরিবহনের সময় আটক-১ শ্যামলী বাসে আস্থা রেখে সর্বস্ব খোয়ালেন গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ পণ্যের দাম, নামমাত্র বাজার মনিটরিং এর ফলাফল শূণ্য সিলেট সদর উপজেলার নির্বাচনে ‘মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে প্রার্থী  কাকলী বঙ্গবন্ধুর  জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত 

সিলেটে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট / ২৬৬ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

দরজায় কড়া নাড়ছে সিলেটের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গ্রামগঞ্জ সরব এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ মাঠে নেমেছেন অনেক আগেই। ফলে সিলেটের গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। বিএনপি’র প্রার্থীরাও মাঠে সরব রয়েছেন। প্রতীক না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবেই তারা নির্বাচনে নামবেন বলে জানা গেছে।

সিলেটের নির্বাচনী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোট ১০৭টির ৮৬টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে আইনিসহ নানা জটিলতা রয়েছে। সেগুলো দ্রুত মিটিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট-৩ উপনির্বাচন নিয়ে প্রায় দুই মাস সরব ছিল সিলেট। নির্বাচন নিয়ে সিলেটের রাজনীতিও সরগরম ছিল। চলতি মাসের শুরুতে এ আসনে নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরপর থেকে সিলেটের নির্বাচন অফিস ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে, ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন নির্বাচন হবে- এমন ঘোষণা আগে থেকেই ছিল নির্বাচন কমিশনের। এ কারণে করোনাকালীন সময়ের গত কয়েক মাস ধরে সিলেটের গ্রামে গ্রামে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। চলছে উঠোন বৈঠক, প্রচারণা এবং দোয়া পর্ব। সবখানেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বেশি।

সিলেট জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিয়া গতকাল জানিয়েছেন, সিলেটের ৮৬ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এগুলোর তালিকা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, তফশিল ঘোষণা হলেই তারা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন। সকল প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। বাকি যেগুলো থাকবে সেগুলো নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে সেটি কাটিয়ে উঠলে পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেটে গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীকে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরাও আশানুরূপ সাফল্য পান। ইউনিয়ন নির্বাচন দিয়ে সিলেটে বিএনপি অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। তখন অবশ্য আওয়ামী লীগের ভেতরে মাঠ পর্যায়ে বিরোধ, মতভেদ ছিল। আবার মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরও ছিল ছড়াছড়ি। এতে করে গতবার ইউনিয়ন নির্বাচনে তেমন সাফল্য পায়নি আওয়ামী লীগ। এবারের চিত্র ব্যতীক্রম। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে। বিতর্কিত, সমালোচিতদের বাদ দিয়েই এবার ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং কর্মীবান্ধব নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরানার একাধিক প্রার্থীই মাঠে সরব রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলের ভেতরেই প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খেতে পারে।

গত সপ্তাহে নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৪ আসনে সফর করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এলাকায় সফরে এসে তিনি নিজেও ইউনিয়ন নির্বাচনের উত্তাপ লক্ষ্য করে গেছেন। এ কারণে নির্বাচনী এলাকার কোম্পানীগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ইউনিয়ন নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী বাছাই করা হয়। আর কর্মীদের বলেছেন, যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকেন। ইউনিয়ন নির্বাচনকে ঘিরে দলের ভেতরে কোনো বিভক্তি দেখতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মন্ত্রী। এবারের ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক জেলা আওয়ামী লীগ। সিলেটের নেতারা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক বেশি গোছালো। দলের ভেতরে চেইন অব কমান্ড ফিরে এসেছে। এ কারণে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিয়ে জয় ঘরে তুলতে চায়। নেতাদের মতে- প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়ন তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাতে হলে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। এজন্য যারাই প্রার্থী হবেন তাদেরকে মানুষের মন জয় করে ভোটে জিতেই আসতে হবে। যারা দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন তারা অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীবান্ধব নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হবে।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান গতকাল জানিয়েছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবো। আগামী ২রা অক্টোবর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আছে। ওই সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সবার সিদ্ধান্তক্রমে নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

এদিকে, ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে এখনো দোটানায় বিএনপির প্রার্থীরা। প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে সরব রয়েছেন। তারা আশা করছেন দলীয় প্রতীকে এবারো নির্বাচন করবেন। কিন্তু এখনো দলের কেন্দ্রীয় তরফ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পাচ্ছেন না। কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেলেও তারা স্বতন্ত্র হিসেবেই নির্বাচন করবেন। অনেকেই আছেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সুতরাং তারা হঠাৎ মাঠ ছেড়েও যেতে পারবেন না। এ কারণে বিএনপির তৃণমূলে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার জানিয়েছেন, ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়া হবে কী না- সে নির্দেশনা এখনো কেন্দ্র থেকে আসেনি। সামনে তাদের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই আলোকে সবাই কাজ করবেন। নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিলে কেউ স্বতন্ত্র করতে চাইলে এটা হবে তার ব্যক্তিগত বিষয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!