১৮ অক্টোবর সোমবার চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ ভুর্ষি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটিকছড়ি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রহিম চৌধুরী। তিনি বলেন, কারো একদিনের ঘোষণায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেদিন এম এ হান্নান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার পর সে সময়ে সেনাবাহিনীতে থাকা সেনা সদস্যদের বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্পৃক্ত করতে করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে মেজর জিয়াকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করানো হয়েছিল। তিনি তার জীবনদশায় এ ধরনের কোন ঘোষণাকারী দাবি না করলেও কতিপয় বিভ্রান্তকারী বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। যা অর্জন করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। যখন তিনি স্বাধীনের পর বিধ্বস্ত দেশকে পুনঃগঠন করে ঘুরে দাড়াচ্ছিলেন তখনই ৭৫’র ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন ঘাতকরা এত বেশি জঘন্যতম অপরাধ করেছিল যে, ১১ বছর বয়সী শিশু রাসেলকেও তারা বাঁচতে দেয়নি। ইতিহাসের এ কলঙ্কজনক অধ্যায় মুছতে হলে এ দিনের সকল ঘাতকদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। তিনি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
পাঠাগারের সভাপতি দক্ষিণ ভুর্ষি ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, রাসেল বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি কাজল চন্দ্র দে, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দে বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিহির চক্রবত্তী, সাবেক সভাপতি ভুবন কুমার দে, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বপন কান্তি নাথ, সঞ্জীব চক্রবর্তী মিঠু, সাবেক উপদেষ্টা সদস্য নিহার চক্রবর্তী, বক্তব্য রাখেন মেম্বার অজিত দেবনাথ, সহ-সভাপতি রতন কুমার দে, কামরুল হাসান বাবু, ইউসুফ নবী টিপু, মেম্বার আহমদ নুর সাগর, পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি, মনজুরুল ইসলাম, চন্দ্রনাথ দে, কামাল উদ্দিন ভুলু, একরাম উদ্দিন, মাহাবুবুল আলম, সুপ্রকাশ চক্রবর্তী অপু, কাঞ্চননাথ, মো. হামিদ, আশীষ মহাজন, জুবায়ের আহমদ ইমন, ওয়াহেদুর নুর মিন্টু, যুবলীগ নেতা মো. রাসেল, অর্পণ চক্রবর্তী, নিখিল মিত্র, সঞ্জীব দে, আবুল হোসেন, যাদব সর্দার, দিলীপনাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিপ্লব দে রিগ্যান। এতে পরে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, ঘাতক রাসেল খুনীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি জানান।