কিছুক্ষন বলতে স্বল্প সময়। আর হোটেল কিছুক্ষন বলতে সবাই বোঝে আতিয়ার রহমানের সেই খাবার হোটেল টি। কিছুক্ষন মানেই কিছুক্ষন। প্রতিদিন ক্রেতাদের খাবার সময় হলে এ হোটেল খোলা হয় আর খাবার শেষ হলেই নির্দিষ্ট সময়েই করা হয় বন্ধ। হোটেলটির এই বিশেষত্বের জন্যই “হোটেল কিছুক্ষন” নামকরন করেছেন এ হোটেলের মালিক আতিয়ার রহমান।
আতিয়ার রহমান জানান, ১৯৭৩ সালে ফেরি ঘাটে প্রথম এই খাবার হোটেল টি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে হোটেল টি স্থানান্তর করে পাকশী আমতলা (রেলওয়ে অফিস এলাকায়) বাজারে নেওয়া হয়। পাকশী রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ হোটেলের প্রধান ক্রেতা।
প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টা ও দুপুর ১-৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ হোটেল। টাটকা, সুস্বাদু ও দেশি খাবার খেতে তাই প্রতিদিন এই স্বল্প সময়ে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভীড় লক্ষ করা যায় এ হোটেলে। প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ হাজার টাকা বিক্রি করেন আতিয়ার রহমান। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও ক্রেতা স্বল্পতায় আগের চেয়ে বিক্রি কমেছে বলে জানান হোটেল মালিক।
একমাত্র এ হোটেলের ওপর নির্ভর করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে জীবনের ৪৯ টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন আতিয়ার রহমান। লালন পালন করেছেন ৪ সন্তানকে। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, একমাত্র ছেলে বর্তমানে ঈশ্বরদী ইপিজেড এ কর্মরত। আর ছোট মেয়েটি কয়েকবছর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এক সাক্ষাতকারে জীবন যুদ্ধে হার না মানা এ যোদ্ধা বলেন, জীবনের বেশিরভাগ সময়টা এ হোটেলে কাটিয়েছি। আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, জীবনের বাকিটা সময়ও এ হোটেলের মাধ্যমেই পার করতে চায়। সকলে দোয়া করবেন।