করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াই প্রতিদিন শতাধিক মানুষ করেনায় আক্রান্ত হচ্ছে।গত তিনদিনে করোনায় শতাধিক মৃত্যু নতুন শনাক্ত আরও ৭৬৬৬ জনের।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ৩৮৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে নারী ৪৫ জন ও পুরুষ ৬৭ জন।১১২ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২১ জন, বাসায় ১৩ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
নতুন ৭৬৬৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয় লাখ চার হাজার চারশত ছএিশ জন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানানো হয় যে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫৬৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩২ হাজার ৬৫৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩১ হাজার ৯৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার হাজার সাতাশ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ এগারো হাজার সাতশো জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্য ১১২ জনের মধ্যে বয়সের হিসেবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব দুইজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৪ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৬১ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেটে একজন, রংপুরে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়।গত রোববার ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
গতকাল সোমবার ৮৩৬৪ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। গত বছর দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর যা একদিনে সর্বোচ্চ ছিলো।গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।