ঈশ্বরদী উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেছেন,টাকা থাকলেই সে মানুষ সভ্য হয় না। আলোকিত মানুষ না হলে আলোকিত সমাজ গড়া যায় না। আমি ঈশ্বরদীর মানুষের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভায় রূপ দিয়েছিলাম। ঈশ্বরদী মানুষ মিন্টুকে চেনে, এই প্রার্থীর বাড়ি কোথায়, নাম শুনি নাই, চিনি না একথা কেউ বলবে না। আমার জন্য ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না।
মঙ্গলবার (৩০শে এপ্রিল) রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী চাঁদ আলী মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সাংস্কৃতিক নিকেতনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিহাসে সলিমপুরের বাহিরে কখনো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় নি। জনগণ সেই ঐতিহ্যের ধারা এবারো অব্যাহত রাখবে। এবার নির্বাচিত হয়ে ঈশ্বরদীকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথার সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আঃ লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার, ঈশ্বরদী উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলী মালিথা, ইউনিয়ন আঃলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস, ১ নং ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি অলক বিশ্বাস প্রমুখ।
সভায়,বক্তারা বলেন, আবুল কালাম আজাদ মিন্টু পদ্মার চর থেকে ভেসে আসে নি। মিন্টু শিমুল বা ভ্যান্না গাছ না। মিন্টু হলো তালগাছ, যার শিকড় অনেক গভীরে। মিন্টুর শিকড় ছাত্রলীগে, মিন্টুর শিকড় যুবলীগে, মিন্টুর শিকড় আঃলীগে। তাকে উপড়ানো এত সহজ না। বক্তারা আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হতে হলে সর্বনিম্ন একটা শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার হয়। নির্বাচনে যেসব ব্যক্তি প্রার্থী হয়েছেন তাদের অনেককেই আমরা আন্দোলন সংগ্রাম তো দূরের কথা, স্কুল-কলেজের বারান্দাতেই কখনো দেখিনি।
এ সময় উপজেলা আঃলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মৃধা, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজুল সরদার,সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা কামাল বিশ্বাস, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক বিশ্বাস সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি-সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।