পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামিম কর্তৃক এক রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ঐ স্বজন শরিফ হোসেন উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী দক্ষিন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ঐ স্বজন বলেন, আমার চাচি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় রবিবার দুপুরে তার সাথে আমি হাসপাতালে আসি। এসময় আমাকে দেখেই দৌড়ে আসেন চিকিৎসক শামিম। বলেন রুগি ক্লিনিকে না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিস কেন? তুই কেন হাসপাতালে ঢুকেছিস বলে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে সকলের সামনে আমাকে চরথাপ্পর মারতে মারতে বাহিরে বের করে দেন তিনি। একজন চিকিৎসক হিসেবে তার ব্যবহারে আমি হতবাক হয়ে পড়ি এবং তাকে সম্মান দেখিয়ে তাৎক্ষনিক আমি সেখান থেকে চলে আসি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামিম বলেন, শরিফ স্থানীয় একটি ক্লিনিকের স্টার্ফ। সে কয়েকদিন যাবৎ অযথা ঘোরাফেরা করে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছিলো। তাকে চলে যেতে বললেও সে যায় নি, পরে তাকে চর থাপ্পর মেরেছি। এটা নিউজ করার কোনো বিষয় না। এসময় তিনি প্রতিবেদক কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা বড় বড় হেডলাইন করে নিউজ করেন। আমাদেরও দুইএকটা পত্রিকা আছে আমরাও নিউজ করবো।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সকল ঔষুধ কোম্পানির বিপণন প্রতিনিধি ও ক্লিনিক স্টার্ফদের নোটিশ দিয়ে হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। শুনলাম তারপর শরিফ আজ হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে শামিমের সাথে তার কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে শামিম তাকে চড় থাপ্পর মেরেছে। তবে একজন চিকিৎসক হিসেবে মারধরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এদিকে চিকিৎসক হিসেবে রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও চিকিৎসক শামিমের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন যাবৎ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চাকুরীর সুবাদে এসব অপকর্ম ধামাচাপা দিচ্ছেন তিনি।