পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান, তার ফেইসবুক আইডিতে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে, মানবতাবিরোধী ও দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকারের মৃত্যু নিয়ে মায়া কান্না না করতে এমন কড়া স্ট্যাটাস দেন।
উল্লেখ যে গত ১৪ই আগষ্ট মঙ্গলবার, ৮.৪০ মিনিটে মানবতারবিরোধী অপরাধের ৮ টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।তার পরেই দেশের বেশ কিছু স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের ফেইসবুকে আবেগঘন পোস্ট করেন। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজ উপজেলার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন কড়া সতর্কতার বার্তা দেন।যদিও তার পূর্বেই তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে আরো একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,পাবনা জেলা,উপজেলার কিংবা পৌরশাখার দায়িত্বশীল কোনো ছাত্রলীগের নেতা এমন কড়া হুশিয়ারি প্রদান করেননি। খন্দকার আরমানের এমন সাহসী দেশপ্রেম ও সাংগঠনিক দৃঢ়তা এবং মুজিবীয় চেতনার প্রশংসা চলছে গোটা পাবনা জেলা ব্যাপি ।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, খন্দকার আরমান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও সর্ববৃহৎ সংগঠন, যেখান আসতে হলে তাকে শতভাগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। মুখে মুজিব সৈনিক আর অন্তরে রাজাকার প্রেম কখনো মুজিব আদর্শের সৈনিক নয়, ওরা দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সুযোগ সন্ধানী লেবাসে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা, সুযোগ পেলে এরাই আওয়ামীলীগকে ক্ষতবিক্ষত করে দিতে এক সেকেন্ডও সময় নিবে না। কিছু নেতার আত্মীয়করণ এবং সঠিকভাবে আমলনামা যাচাই না করার কারণে এই সব হাইব্রিড প্রেতাত্মারা সংগঠনে ঢুকে পড়েছে, যা কখনোই কাম্য নয় ও দলের জন্য বিশাল বিপদজনক।
ঈশ্বরদী উপজেলা সকল ইউনিটের নেতা কর্মীদের তথ্য সূত্র যাচাই-বাছাই চলছে, যদি কেউ রাজাকার সাঈদী বা রাজাকার সংশ্লিষ্ট যে কোনো পাকি প্রেতাত্মাকে নিয়ে মায়াকান্না করে ফেইসবুক বা ফেইসবুকের বাহিরে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, একজন প্রবীণ আওয়ামীলীগার বলেন,ঈশ্বরদীর ছাত্রলীগের আরমান তাও কিছুএকটা লিখেছে, এর জন্য ওকে ধন্যবাদ। কিন্তু যারা দলের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে আবার এমপি হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে কিংবা দলের সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করছে, পাবনা জেলার এমন শতশত নেতার কাউকে দেখলাম না এই রাজাকারের শিরোমনিদের একজন সাঈদীকে নিয়ে কিছু লিখতে বা বলতে! আসলে দলের ইতিহাস সমৃদ্ধ রাজপথের তৃণমূল পরীক্ষিত কর্মীদের বাদ দিয়ে নেতারা যখন সংগঠনের পদ পদবীতে আত্মীয়করণ বা নিজ গোয়ালঘর হতে ধরে এনে বসাই, তখন তো এমন রাজাকার প্রীতি পকিপ্রেতাত্মারা তো জন্ম নিবেই।