মহামারি করােনা ভাইরাসের ভান্ডব দমাতে সাড়া দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতেও গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার ( ৭ আগস্ট ) সকাল ৯ টায় গণটিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম.ইমরুল কায়েস।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার । এরই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী উপজেলায় ক্যাম্পেইনে মাধ্যমে ৭টি ইউনিয়নে ও ১ টি পৌরসভায় ৫৪ জন টিকাদানকারী এবং ৭২ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযােগে কোভিড -১৯ টিকা প্রদান করা হচ্ছে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান জানান, টিকাদান ক্যাম্পেইন ৬ দিনের পরিবর্তে একদিনের জন্য চলবে। ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬০০ করে মোট ৪৮০০ ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আসলে আগামী ১৪ তারিখ থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যান সহকারী নাজনীন সুলতানা জানান , টিকা নিতে এ পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে ৪০ হাজারের বেশী নিবন্ধন করেছেন । প্রথম ও দ্বিতীয় ডােজসহ প্রায় ২০ হাজার টিকা গ্রহন করেছেন । এ ক্ষেত্রে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন সেখানে টিকা নেবে। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হচ্ছে ।
এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার সব ইউনিয়নেই টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। তবে টিকা না পেয়ে সাধারন মানুষকে কিছুটা উত্তেজিত হতে দেখা যায়। মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে আত্মীয়তা ও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগও আনেন অনেকে। তবে সেগুলো অস্বীকার করছেন জনপ্রতিনিধিরা। ইউনিয়নগুলোতে কোথাও ছিলো না স্বাস্থ্য বিধির বালাই, অনেকের মুখে ছিলো না কোনো মাস্ক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান প্রত্যেকটি ইউনিয়নে সরজমিনে গিয়ে টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন।