পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে প্রয়াত ভূমি মন্ত্রী পুত্র, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, কনক শরীফের নেতৃত্বে এই শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বেলা ১২ ঘটিকায়, উপজেলার পোষ্টঅফিস মোড় হতে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মী সমর্থকদের উপস্থিতে, শোক র্যালী শুরু হয়ে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে, পথসভায় বক্তব্যের পর র্যালিটি পুনরায় ঈশ্বরদী বাজার ও চাঁদ আলি মোড় হয়ে আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে কনক শরীফ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অবস্থিত জাতির পিতার ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনালে সংক্ষিপ্ত পথসভায়, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রয়াত ভূমি মন্ত্রী পুত্র, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপকমিটির সাবেক নেতা,
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক,বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বীরু, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হামিদুর চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম মোল্লা, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানা পারভীন রুনা,দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম,সাহাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান দিপু প্রমূখ।
পথসভায় রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে খুনিদের বিচারের আওতায় এনে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। এখনও বঙ্গবন্ধুর কতিপয় খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে।
পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে
স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের পেছনে কলকাঠি নেড়েছিলজিয়াউর রহমান। ৭১’র পরাজিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ জিয়াউর রহমান এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। আমি জিয়াউর রহমানের মরণত্তর বিচার দাবি করছি। একই সঙ্গে আগামী ২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহবান জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনক শরীফ বলেন, ১৫ আগস্ট সারাবিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত মানুষের নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের পাকিস্তানের ঘৃণ্য চক্রান্তে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এহত্যাকান্ডের সময় জিয়াউর রহমান সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার নির্দেশে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতা দখল করে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহ ১১৮০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন।জাতির পিতার খুনিদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত করেছেন এবং আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেন। জনকের যেসব খুনি এখনো পলাতক রয়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যার রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।জামাত বিএনপির সকল জ্বালাও পোড়াও রাজপথে মোকাবিলা করে এবং জননেত্রীর ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ, আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করবো ইনশাল্লাহ।
এর আগে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পথসভায় বক্তব্য রাখেন।