চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের বৈলতলী রোড় এলাকায় ফেরদৌসী কাজল (৩৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার আবু সৈয়দের স্ত্রী এবং উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভাটিখাইন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় পটিয়া পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ডের বৈলতলী রোড এলাকায় কবির আহমদ ড্রাইভারের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ।
সন্ধ্যায় এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পটিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজিয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। নিহতের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া পৌর সদরের ওই বাসায় বসবাস করে আসছে।
নিহতের মেয়ে নীলা দাবি করেন, তার মা আগে থেকেই একটু রগচটা ছিল। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। এক বছর আগে তার বাবার সাথে মায়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় আমরা মাকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসি। আজ বুধবার তিনি ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্বহত্যা করেন। তখন আমরা বাসায় ছিলাম না।
স্থানীয়রা জানান, আত্মহত্যার আগে তাদের মা ফেরদৌসী কাজল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একপর্যায়ে বলেন তার রুমের বিদ্যুৎলাইন বন্ধ করে দিতে। মেয়ে কিছু না বুঝেই ঘরের বিদ্যুৎলাইন বন্ধ করে দেয়। ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষণ পরও না খোলায় স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মহিলার স্বামীর সঙ্গে এক বছর আগে ডিভোর্স হয়। তাদের সংসারে আর্থিক সমস্যা ও পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে