কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাহাদুর মিয়ার বনায়নে রোপিত চারাগাছ উপড়িয়ে ফেলা ও নিয়ে যাওয়ায় চিহৃিত লোকসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করায়,বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে হায়দারনাশী বাজারে হুমকি দেওয়া হয়।
বনায়নের মালিক ও মামলার বাদী বাহাদুর মিয়া (৫১) ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব হায়দারনাশী এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ রযেছে,পার্বত্য লামা ফাঁসিয়াখালী ২৮৬ নং মৌজার হুমায়ূন কবির চৌধুরীর নামে রেজিষ্টার্ড চুক্তিনামা দলিল নং-১৪০৫/২০০৮ মূলে ক্রয়কৃত বাহাদুর মিয়া ৫০১ হোল্ডিং এর আন্দর ৪একর ৩য় শ্রেণী জমির মালিক হয়।উক্ত জমিতে বহু অর্থ,শ্রম ব্যয়ের মাধ্যমে ২বার করে বেলজিয়াম গাছের চারা রোপন করে।তপশীলোক্ত জায়গা থেকে প্রায় ১ একর ২০ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে সোলতান।এই কারণে বাদী গত ২০১৯ সালে বান্দরবান জর্জ কোর্টে অপর মামলা নংঃ-১৩৭/১৯ দায়ের করেছিল।এরপরেও এই দখলবাজ সোলতান তার ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে গত ৯জুন দিবাগত ১২টা ১০ মিনিটের সময় রাতের আধারে বাদীর রোপিত ৫ হাজার গাছ উপড়িয়ে ফেলে,৮ হাজার গাছ উপড়িয়ে গাড়ী যোগে নিয়ে যায়। যার ফলে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এসময় বাদী বনায়নের পাশ্ববর্তী থাকা রুবি আক্তার দখলবাজদের চেঁচামেচি আওয়াজ শুনতে পায়।পরে উকি দিয়ে দেখে মামলার আসামী একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বড়ছনখোলা এলাকার মৃত মোঃআলী মুন্সি ছেলে সোলতান মাহমুদ,মৌলভী রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ কবির,আকবর আহমদের ছেলে নুরুল আবচার বাবু সহ আরো ১৫/২০ জন লোক।খবর পেয়ে বাদী পরের দিন সকালে বাগান গিয়ে দেখি ঘটনা সত্যি।এবিষয়ে গত ১৩ জুন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত লামায় বাহাদুর মিয়া মামলায় দাযের করিলে,এখবর পেয়ে আসামীগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে সোলতানের হুকুমে অপরাপর আসামীরা রবিবার বিকেলে আমাকে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে খাটাবে বলে অভিযোগকারী বাহাদুর মিয়া জানিয়েছেন।
এছাড়াও বাগানের অবশিষ্ট গাছও কেটে সাবাড় করবে। বিধায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ভূক্তভোগি বাহাদুর।