সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর স্টুডেন্টস কেয়ার এর উদ্যোগে সপ্তাহ ব্যাপি কোভিড-১৯ ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সপ্তাহ ব্যাপি স্টুডেন্টস কেয়ারের প্রতিনিধিগন সাধারণ মানুষের বাড়ী-বাড়ী,মহল্লায়-মহল্লায়,জনে- জনে ভ্যাকসিন নিবন্ধনে উৎসাহিত করেন।
ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সংগঠনের সভাপতি জামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা আমাদের চলমান এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সহস্রাধিক মানুষের ভ্যাকসিন নিবন্ধনে প্রতি উৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ শতাধিক ২৫ উর্ধ্ব ব্যাক্তিদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।
আমাদের সদস্যগন এই কয়দিন জনপল্লিতে-গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে সাধারণ মানুষদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনের গুরুত্ব/উপকারিতা/প্রয়োজনীয়তা বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।
আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে অনেক রাজনৈতিক-সামাজিক ও জনপ্রতিনিধিগন কাজ করেছেন।
আমাদের এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করার মূল লক্ষ্য ছিল; ভ্যাকসিনের প্রতি সাধারণ মানুষদের মিথ্যা ধারণা এবং কুসংস্কার রোধ করা। সেই সাথে ভ্যাকসিনের প্রতি সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস – উদ্দিপনা – গণজোয়ার সৃষ্টি করা। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা আমাদের সেই লক্ষ্যে অনেকাংশেই সফল হতে পেরেছি।
আমরা দেখেছি আমাদের কোভিড-১৯ ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ গ্রহন করার পর থেকে জগন্নাথপুরের অনেক সংগঠনগুলো আমাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারা নিজেরাও সাংগঠনিকভাবে ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে সেই সংগঠনগুলোকে অবশ্যই সাধুবাদ – ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আশা করছি আমাদের এই ভ্যাকসিন নিবন্ধন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।আপনারা অবশ্যই জানবেন আমরা আমাদের ফ্রি ক্যাম্পেইন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের প্রতিনিধিগন নিরবে নিভৃতে সাধারণ মানুষদের জন্য কাজ করে যাবে ইনশাহ আল্লাহ।
এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে টিকা গ্রহণের পদ্ধতি সহজীকরনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষরা আগ্রহী হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। জগন্নাথপুর উপজেলার সমগ্র সচেতন মহলকে আমরা অনুরোধ করবো আসুন আমরা সবাই টিকা নিই সেই সাথে টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের উজ্জীবিত করি।
আমাদের এবারের শ্লোগান ছিলঃ
‘নিজ ও পরিবারকে দিতে সুরক্ষা,
এসো সবে নিই করোনা টিকা”।।