শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাশিয়ায় বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারকে শোকজ ঈশ্বরদীতে নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করতে হামলার অভিযোগ ঈশ্বরদীতে এসএসসি পরীক্ষায় মোট পাসের হার- ৮৮.৬১ শতাংশ সলিমপুরে  মিন্টুর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীর পৌর মেয়র ইসাহক মালিথার বিরুদ্ধে অন্যায়-অত্যাচারের অভিযোগ ঈশ্বরদীর ২ ইট ভাটায় অভিযান// দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ঈশ্বরদীতে ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালু মহল চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ঈশ্বরদীতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেম্বারের কৃষি জমির মাটি বিক্রয় 

লালমনিরহাটে খাদ্য গুদামে অনিয়ম

লালমনিরহাট প্রতিনিধি / ১৬১ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১, ৩:২৭ অপরাহ্ণ

লালমনিরহাট সদরে খাদ্য গুদামে দিনের পর দিন অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জানের বিরুদ্ধে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য গুদামে কৃষকরা ধান ও মিল-চাতাল মালিকরা চাল নিয়ে আসলে খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জামান খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। কারন প্রতি বস্তা ধান ও চালে তিনি টাকা নেন। টাকা না দিলে এখানে কোন কাজই ঠিকমত হয় না। এই জন্য কৃষক ও মিল-চাতাল মালিকদের অনেকেই সদর খাদ্য গুদামে পন্য সরবরাহ করতে আগ্রহী নন।ফলে চলতি মৌসুমে খাদ্য গুদামের সরকারি লক্ষ্য মাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা করছেন অনেকে।

জানা যায়,চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে খাদ্য ক্রয়ের জন্য প্রতি মন ধান ১হাজার ৮০ টাকা দরে কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত দেন। এর অংশ হিসেবে লালমনিরহাট সদর খাদ্য গুদামে কৃষকদের নিকট থেকে ১ হাজার ১৫০ মে.টন ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়।কিন্তু খাদ্য বিভাগের ধান দিতে এসে নানা রকম হয়রানি ও বাড়তি টাকা নেওয়ার কারনে কৃষকরা আর ধান দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।ফলে চলতি মৌসুমে মাত্র ৭ শত ৪২ মে.টন ধান ক্রয় করেছেন।
অপর দিকে মিল-চাতাল মালিকরা অনেকেই সদর খাদ্য গুদামে চাল দিতে আগ্রহী নন।খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জামানের অশোভনীয় ব্যবহার ও তার নির্দেশে শ্রমিকরা বাড়তি টাকা নেওয়ার কারনে ইতিমধ্যে মিল-চাতাল মালিকরা সদর গুদামে চাল দেওয়া বন্ধ করেছে।তারা বাড়তি গাড়ি ভাড়া দিয়ে তিস্তা খাদ্য গুদামে চাল দিচ্ছেন।ফলে চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট সদর খাদ্য গুদামে চাল ক্রয়ে সরকারি লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী অর্জন হবে না বলে আশংকা রয়েছে।সদর খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জামান প্রতি টন চাল ও ধানে কৃষক ও মিল-চাতাল মালিকদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোঘলহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, তিনি এ বছর কোন ধান দেননি। তার হয়ে ধান দিয়েছেন মশিউর নামে একজন।এ জন্য তাকে দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা।আর খাদ্য কর্মকর্তাকে কিভাবে ম্যানেজ করেছে তা তিনি জানেন না।মঙ্গলবার (১০আগস্ট) লালমনিরহাট সদর খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জামান ” জাগ্রত সকাল”কে সেল ফোনে বলেন,নিউজ করে কি হবে নিউজ করার করেন।লালমনিরহাট সদর খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল হক এই প্রতিবেদককে জানান,খাদ্য গুদামে বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষযটি জানি না।তবে কিছু কৃষক ও মিল-চাতাল মালিক চাল ও ধান দিতে নারাজ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি আর কোন সমস্যা হবে না।লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিকুল আলম বলেন,বিষয় গুলো আমার জানা ছিল না তবে এখন তদন্ত করে দেখছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!