তারুণ্য মানে না কোন নিষেধ-বাধা। তারুণ্যের উদ্দামতা সাগর পাড়ি দেয়ার মতো দুঃসাহস যেমন রাখে, ঠিক তেমনি এ বয়সে হিমালয় পর্বত জয় করার মতো দুঃসাহস রাখে। জল, স্থল, আকাশ, মহাকাশ, পর্বত কোথায় নেই তারুণ্যের ছাপ। যেখানেই চোখ পড়বে তারুণ্যের জয়গান। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস কখনও কখনও সময়ের সঙ্গে বা নির্দিষ্ট কোনো বয়স সীমায় বেঁধে রেখে বর্ণনা করা যায় না। অসম্ভবকে সম্ভব করতে ঝুঁকি নিতে পারার বয়স তারুণ্য।
যৌবনের মৌবনে সমাজ সেবার মত কণ্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল রাজপথে নেমে এসেছে শত তারণ্যের নৈতিক ও আদর্শিক আইডল কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি সাবেক উপজেলা পরিষদের নন্দিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান। তার জন্ম হলদিয়া পালং এর চৌধুরী পাড়ার ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারে।
সামনে আসছে হলদিয়া পালং এর ইউপি নির্বাচন। অতি শীঘ্রই তফসিল ঘোষণা হবে। হলদিয়া পালং ইউনিয়নবাসীর কণ্ঠ মিছিল ‘ইমরুল কায়েস চৌধুরীর পরিবার দীর্ঘদিন হলদিয়া পালং তথা উখিয়া বাসীর নানামুখী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে তিনি হলদিয়া পালং বাসীর নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সারাক্ষণ অনলাইনে-অফলাইনে, স্ব-শরীরে নিজের সাধ্যনুযায়ী সমাধানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন। তার সাংবাদিকতার প্রশংসার রেখা বিস্তৃত রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে।
ইমরুল কায়েস এর বাবা দীর্ঘদিন ধরে সমাজ সেবার পাশাপাশি উখিয়া উপজেলাবাসীর বিপদে আপদে কেটে খাওয়া অধিকার বঞ্চিত মানুষের আস্থাভাজন রাহবার হয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানের জন্য বহু সভা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এতে তার পরিবার সমাজে বেশ প্রশংসিত।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন, রোহিঙ্গাদের আগমণে উখিয়া বাসীর দুঃখ দূর্দশার দুঃসময়ে উপজেলা বাসীর সংকট থেকে উত্তরণের তার পরিবারের সংগ্রাম আন্দোলনের কথা কক্সবাজারবাসী আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
অসহায় অবলা নারীর আর্ত চিৎকারে যখন আকাশ ভারী। ঠিক তখনই তিনি ফুল সজ্জার চাকচিক্যময় জীবনের ইতি টেনে নবিজী সা.এর মহান সুন্নত সমাজ সেবার জন্য নিজেকে নিবেদিত করবে বলে সম্মতি জ্ঞাপন করে গণমানুষের কাতারে শামিল হয়েছেন।
তার আগমণে বহু মানুষ স্বস্থির ঢেকুর তুলেছে এবার অন্তত পরিচ্ছন্ন একজন দরদী সহমর্মি স্বভাবের অভিভাবক এসেছে। দূর হবে দূর্বিত্তায়ন। বন্ধ হবে লুন্ঠন দস্যুতার লুন্ঠন। সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে তিনি কাজ করতে নিজেকে সাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন। তিনি এই সব পেশার পাশাপাশি অনাথ শিশু ফাউন্ডেশনের
দায়িত্বও সুনামের সাথে পালন করছেন বলে জানা যায়। ইমরুল কায়েস একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সৈনিক। তিনি অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি প্রার্থী হওয়াতে বহু বয়োবৃদ্ধ মানুষ উচ্ছ্বসিত। তারা বলেন, বাবার অনুকরণে যদি পরিষদ চালায় তাহলে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে সরকারি সেবা, অনুদান।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সেক্রেটারী জননন্দিত মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান এর নির্দেশে এবং জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র দায়িত্বশীলদের আন্তরিকতায়
নানামুখী সেবামূলক কর্মকান্ড ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশেষত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত হলদিয়া ইউনিয়নসহ উখিয়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি একজন সফল রাজনৈতিক নেতা হিসাবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অনেকেই নৌকার প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে হলদিয়া পালং এর চায়ের দোকানের আড্ডায়, ছেড়া সংলাপে ইমরুল কায়েস এর নাম এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু।
ইমরুল কায়েস এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যান। জনপ্রতিনিধির বাইরে থেকেও এলাকার অনেক শালিসী বৈঠক দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। তাতে লাঞ্ছিত বঞ্চিত মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে এসেছে। অন্তত আগামী ৫টি বছর দালাল মুক্ত সিন্ডিকেট মুক্ত সমাজ গঠনে ইনসাফ পূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এমনটাই ধারণা তার প্রতি মানুষের।
হলদিয়া পালং ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইমরুল কায়েস গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার পরিবার হলদিয়া পালং এর মানুষের কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে সেবা করে আসছেন। আমি মাহমুদুল হক চৌধুরীর সন্তান হওয়াতে মানুষের বুকভরা ভালোবাসা পেয়েছি। শাসক হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আগামীর পথচলা। আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয় হলদিয়া পালং ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করব ইনশাআল্লাহ। দূর্নীতি নিজেও করব না এবং দূর্নীতিবাজকে ছাড়ও দিব না। যুব সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করে সুশীতল পথে নিয়ে আসতে শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাব। ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার সেবায় সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত গলাকাটা ফি মওকুফ করব।
উপকার ভোগী নিম্নবিত্ত গরীবদের সরকারী ভাতা নিজ হাতে পৌঁছে দেব। সরকারী অনুদান বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির নাগাল বন্ধ করব। আমার আগামীর দিনগুলো হলদিয়া পালং ইউনিয়নবাসীর সুঃখে দুঃখে পাশে থাকব।