পাবনার ঈশ্বরদীতে সুমাইয়া মন্ডল নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে নিহতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের আরজু সুপার মার্কেটে স্বতঃকন্ঠ পত্রিকার অফিসে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী তালাত মাহমুদ খান আকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তালাত মাহমুদ বলেন, ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরি কাচারিপাড়ার বাসিন্দা আরমান মন্ডলের মেয়ে সুমাইয়া মন্ডলের সাথে দেড় বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সাম্প্রতি তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হলে বিষয়টি জানতে পারে তালাত। ঘটনার দিন (২২ এপ্রিল) নিহত স্ত্রী সুমাইয়ার মুঠোফোনে এ ধরনের ক্ষুদ্রে বার্তা ও কলরেকর্ড খুজে পায় তালাত। এজন্য বউয়ের মুঠোফোন কেড়ে নেন। এরপরই সকলের অগচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সুমাইয়া। পরে খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
তালাত আরও বলেন, ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (২৫শে এপ্রিল) উদ্দেশ্যমুলকভাবে আমার ও আমার পরিবারকে হত্যাকারী হিসেবে প্রচার করে মানববন্ধন ও পথসভা করে নিহতের স্বজনরা। মানববন্ধনে আমাদের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবী ও আমার নিহত স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুনিরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ সুমাইয়া মারা যাওয়ার ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশের পক্ষে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তালাতে’র বড় ভাই, সুলতান মাহমুদ খান, চাচা সান্টু আলী শেখ, চাচা দৌলত আলী খান, চাচা শরিফুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।