শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ঈশ্বরদীতে ২ টি গাঁজা’র গাছ সহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ  ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল  ঈশ্বরদী তে এমপির নির্দেশে “পৌর ছাত্রলীগের তীব্র দাবদাহে পিপাসা মেটানোর জন্য শরবত বিতরণ” আমার পক্ষে ভোট চাইলে কারো মাথা নিচু হবে না-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনাকে হত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ  ঈশ্বরদীতে বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সন্তানদের আহাজারি  ঈশ্বরদীতে মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ স্কুল শিক্ষার্থী  ঈশ্বরদীতে পুকুরে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু রায়পুর মানব কল্যাণ সংস্থার  ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত 

পাবনায় স্ত্রী হত্যার অপরাধে ৯ বছর পর স্বামীর ফাঁসির আদেশ

পাবনা প্রতিনিধি / ২৫২ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৩:০৪ অপরাহ্ণ

যৌতুকের দাবিতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়িতে গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় স্বামী মো. সিফাত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সিফাত আলী চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি স্কুলপাড়ার মো. রব্বেলের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেয়া হয়।

নিহত নাছিমা খাতুন নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটাকাজিপুর গ্রামের মো. আরদেশ প্রামানিকের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালের যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসিমাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে ব্যাপক মারপিট ও গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় সিফাত। পরে নিহতের বাবা আরদেশ বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের বছরের ১৫ জানুয়ারি ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা চলাকালে এক আসামি মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষর শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী ও পরিবার।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইতি হোসেন মুক্তি জানান, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটি একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!