ঈশ্বরদীতে মামুন হোসেন (২৫) নামে এক রিক্সা চালককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার পৌর শহরের কাচারিপাড়া কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন পিয়ারাখালী এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে এবং আহতরা হলেন, পিয়ারাখালী এলাকার শরীফ হোসেনের ছেলে রকি (২৬) ও বাবু ওরফে বরকি বাবুর ছেলে সুমন (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙ্গার জরিমানা দাবি করেন। কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন, রকি ও সুমন দুই চালকের মাঝে বাকবিতন্ডা থামাতে যায়। এসময় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটি চালককে হুমকিধামকি দেয়।
এরাও পাল্টা আনোয়ারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর আনোয়ারের সমর্থনে তিনটি মোটরসাইকেলের ৯ জন ও রিক্সায় আরো দু’জনসহ ১১ জন ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয়দের ওপর পিস্তুল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। নিহত মামুনের মামা মনিরুল ইসলাম জানান, বাকবিতন্ডার সময় আনোয়ার হোসেন নেশাগ্রস্ত ছিল। তারা ভটভটির চাঁদা আদায়ের সঙ্গে যুক্ত । আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে ভটভটি চালকের পক্ষ নিয়ে লেগুনার চালক ও এলাকার লোকজনের ওপর চড়াও হয়।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে আনোয়ার পিস্তুল বের করে মামুন ও সুমনকে গুলি করে এবং আনোয়ারের সহযোগীরা রকিকে ছুরিকাঘাত করে। মামুনের তলপেটে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত রকি ও সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোম্বামী জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে সামনের গ্লাস ভাঙ্গা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।