পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা কলেজ রোড সরকারি কলেজের পাশেই চলছে ড্রেন সংস্কারের কাজ। আইন অমান্য করে মেইন রাস্তা দখল করে চলছে নাটোরের প্রভাবশালী জেমস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ড্রেন নির্মাণের কাজ। এতে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। চরম অব্যবস্থানা ও দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় পথচারী সহ রাস্তায় চলাচল করা ছোট বড় যানবহন চালকরা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও দায়িত্বে উদাসিনতা কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসী সহ রাস্তার পথচারীদের।ঈশ্বরদী পৌর ৪ নং ওয়াড এ ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের পাশে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
সড়কের উপর যত্রতত্র বালির স্তুপ, পাথর ও বিটুমিনের ঢালাই মেশিন রাখায় ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ থেকে শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজারের চলাচল করা ছোট -বড় গাড়ি লং রুটে ও ক্রসিং লেন দিয়েই পারাপার হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার।
শহরের ব্যস্ততম মেইন সড়ক দখল করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ করায় ক্রসিং লেন দিয়ে অবাধে গাড়ি চলায় প্রায় প্রায় দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন মানুষ। এদিকে গত সপ্তাহে ঈশ্বরদীর স্থানীয় সাংবাদিক ফারাবি বিন সাকিব সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় সেখানে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হন।এতে সাংবাদিক সাকিব গুরুত্বর আহত হন ও তার ব্যবহৃত হরনেট সিভিএস মটর বাইকের সাথে সংবাদ সংগ্রহের নিজস্ব (৭০ হাজার টাকার) ক্যামেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঐ সাংবাদিক এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ করে এখন ও মেলেনি কোন প্রতিকার। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শহরের ব্যস্ততম এই রাস্তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন সতর্কমূলক সাইনবোর্ড এ নোটিশ না দিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। এতে ছোট বড় দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ।
ট্রাক চালক আব্দুর রহমান জানান, মেইন রাস্তা এভাবে দখল করে কাজের দ্রব্যসামগ্রী রেখে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। আমাদের লোড গাড়ি নিয়ে ক্রসিং লেন পার হতে হচ্ছে, একই পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল, রিক্সা, ভ্যান সব যানবহন চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।
সড়কের পাশে কম্পিউটার দোকান মালিক আলামিন হোসেন বলেন, আমার দোকানের সামনে এভাবে রাস্তা দখল করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে আমার দোকানে কাস্টমার আসতে পারছেনা, তাদের একাধিকবার বলেও কোন কাজ হয়নি। আমার দোকান খোলা রাখা যেমন দুষ্কর তেমনি রয়েছে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে এখানে কয়েকদফায় অনেক সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। তবুও তাদের কোন নজরদারী নেই।
এক সপ্তাহ আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের দায়িত্বে থাকা রবিউল ও ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তারা জানান আজ কালের মধ্যে তারা সড়কের উপর রাখা বালু ও পাথর সরিয়ে নিবেন। কিন্তু সরানোর পরিবর্তে যেন রাস্তার উপর আরো কাজের দ্রব্য সামগ্রী ফেলানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত করে আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।