পাবনার ঈশ্বরদীতে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী সাদিয়ার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস।
অর্থের অভাবে সাদিয়ার লেখাপড়া ষখন অনিশ্চয়তার মুখে ঠিক তখন তার পাশে এসে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাদিয়ার হাতে লেখাপড়ার খরচ বাবদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
ঈশ্বরদী পৌরসভার বাবুপাড়া এলাকার অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী সাদিয়া ৫ম শ্রেণিতে জিপিএ -৫ অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ -৫ এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে। তবে টাকার কাছে হার মানছে সাদিয়ার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
গত ২৯ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশের নজরে আসে। এরপর তিনি সাদিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সাদিয়ার পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় সে জন্য তার কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেন তিনি।
এরইমধ্যে গতকাল সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউএনও তার নিজ অফিসে সাদিয়ার কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য নগদ অর্থ সাদিয়া হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘সাদিয়ার বাবার স্বপ্ন ছিল সাদিয়াকে ডাক্তার বানাবে। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা কষ্ট করে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়েছে। তবে কলেজে পড়ানোর মতো সামর্থ না থাকায় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে
এমন সংবাদ দেখে আমি সাদিয়ার পরিবারের সন্ধানে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সাদিয়া অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল ভিন্ন ধরনের আগ্রহ। তবে বর্তমানে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারণে বন্ধের পথে পড়াশোনা। সাদিয়ার লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়ে যায়, তার বাবার স্বপ্ন যেন সে পূরণ করতে পারে, তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যেন পূরণ হয় একারণে আমি তাদের পাশে সব সময় থাকব। আমি যদি এখান থেকে বদলি হয়ে অন্য কোথাও চলে যাই, তবুও সব সময় পাশে থাকব। তাদের বড় ছেলে হয়ে পাশে থাকব।
এসময় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, ‘সাদিয়ার বাবা মারা গেছেন। আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কথা বলেছি, তারা যেন সাদিয়ার মায়ের জন্য একটা বিধবা ভাতা কার্ড করে দেয়। তাহলে প্রতি মাসে কিছুটা হলেও অর্থ আসবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক স্যার বরাবর জানিয়েছি, স্যার যেন সাদিয়ার বিষয়টি দেখেন।