পাবনার ঈশ্বরদীতে অনৈতিক কাজের সময় নারী সহ রাকিব হোসেন (৩০) নামে এক দন্ত চিকিৎসক কে হাতেনাতে আটকের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া বাজারের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন (পুরাতন পাকশী হাইওয়ে থানার) পাশে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে ঐ নারীর সাথে অনৈতিক কাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রাকিব হোসেন দাশুড়িয়া বাজারের এ.আর. প্লাজা মার্কেটের ডেন্টাল উইশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, চিকিৎসক রাকিব মাঝে মাঝেই সন্ধ্যার পরে তার চেম্বারে রোগীর বেশে উঠতি বয়সি মেয়ে নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক মেয়ে নিয়ে চিকিৎসক রাকিব কে উল্লেখিত বাসায় ঢুকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লালু-ভুলু সহ এলাকাবাসী ঐ কক্ষে তাদের কয়েক ঘন্টা আটকে রাখে। পরে বিভিন্ন দেন দরবার শেষে লক্ষাধিক টাকায় তা রফাদফা হয়।
এ বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ভুলু’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসক স্থানীয় মন্টু হাজির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ঐ দিন অনৈতিক কর্মকান্ডের সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক মন্টু হাজির বাড়িতে নারী সহ তাকে আটকে রেখে আমাকে ফোন দেয়। পরে আমি তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে বলি। ঐ চিকিৎসক ও ঐ নারী উভয়েই বিবাহিত। তাদের আলাদা আলাদা সংসার রয়েছে। পরে ঐ নারীর অনুরোধে তাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু রাকিবকে আটকে রাখা হয়। কিছুক্ষন পরে সাগর ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে, বিষয়টা আমরা দেখছি আপনি ওদের পাঠিয়ে দেন। পরে আমি চিকিৎসক রাকিব কে সাগরের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তারপর কি হয়েছে আমি জানি না।
অভিযুক্ত রাকিবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ছোট একটা বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। আমরা নিজেরাই তা সমাধান করে নিয়েছি। নিউজটা না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরে এ বিষয়ে পরে আপনার সাথে কথা বলবো।
দাশুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বকুল সরদার বলেন, আমি ব্যাক্তিগত কাজে ঈশ্বরদীর বাহিরে অবস্থান করছি, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসক রাকিবের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী কেলেঙ্কারির একাধিক ঘটনা ঘটেছে।