পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিলন খন্দকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে মুলাডুলি স্টেশনপাড়ায় রেণু আক্তার নামে এক নারীর বাড়িতে হামলা ও বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করে ঐ যুবলীগ নেতা সহ তার সহযোগীরা। এসময় রেনু আক্তার, কে এম রানা, সাবানা খন্দকার সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
আহত রেনু আক্তার জানান , ইতিপূর্বে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সেই দায় অন্যের উপর চাপিয়ে আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছিল মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিলন খন্দকার। পরে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে বিবাদীর সঙ্গে মামলাটি সমঝোতা করে নেই। এতেই দীর্ঘদিন ধরে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল যুবলীগ নেতা মিলন। অবশেষে আজকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে আক্রমণ করে পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।
এ বিষয়ে মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিলন খন্দকার জানান, অভিযোগকারীরা সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই-বোন হয়। তারা আমার জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘরবাড়ি নির্মান করছিলো। এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমার ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। পরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকেও থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, দুপক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।