মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ

ঈশ্বরদীর শেখের দাঁইড়ে রাস্তার উপর মক্তব নির্মাণ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ

ঈশ্বরদী, পাবনা প্রতিনিধি / ৪১৬ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ

গত ২৮ জুন সাপ্তাহিক প্রথম সকাল পত্রিকায় ‘গ্রামবাসীর দ্বন্দ্বের সুযোগে রাস্তার উপর জামায়াত নেতার মক্তব নির্মান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসী। বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে গ্রামবাসীর পক্ষে শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রকাশিত সংবাদটি মনগড়া, কাল্পনিক, সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানিয়েছেন। এসময় উপস্থিত গ্রামবাসী প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

শরীফ বলেন, সংবাদে বলা হয় গ্রামবাসীর দ্বন্দ্বের কারনে রাস্তার উপর একটি মক্তব (ফুরকানিয়া মাদ্রাসা) নির্মানের কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতা মোঃ ইউনুস আলী ক্বারী । এই কথা মিথ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৫৫ সালে মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করা জায়গাতে পুরাতন ঘর সরিয়ে ফেলার কারনে গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে মক্তব্যের জন্য পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করেছে। ইউনুস ক্বারী ৪০ বছর যাবত অত্র মসজিদে ইমামতি করে যাচ্ছেন। এই সংবাদে ঈমামকে খাটো করা হয়েছে বলে গ্রামবাসী নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মক্তব, মসজিদ, স্কুল, ঈদগাহ ও গোরস্তান একই স্থানে হওয়ায় এলাকাটি একটি মডেল গ্রামে পরিনত হয়েছে। সংবাদে আরো বলা হয়েছে, রাস্তা বন্ধ করে মক্তব নির্মান করায় এলাকার শত শত লোক যানবহন নিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এই বিষয়টিও ডাহা মিথ্যা। কারণ এখানে কোন রাস্তা নেই এবং কোনদিন ছিল না। কাজেই রাস্তা দিয়ে চলাচলের প্রশ্নই ওঠেনা।

 

তিনি আরো বলেন, বরং একজন টাউট প্রকৃতির মানুষ পবিত্র ধর্মীয় প্রতিষ্টান, মক্তব, গোরস্তান ও মসজিদের অতি প্রয়োজনীয় টয়লেট ও সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মানের কথা বলে মক্তব, গোরস্থান ও মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করে। এসময় গ্রামবাসীরা জানান, স্কুলের জন্য উভয় পাশে পাকা সংযোগ সড়ক রয়েছে, যা গ্রামীন জনপদের স্কুলটিকে উন্নত পরিবেশ এনে দিয়েছে।

শরীফ অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য একই এলাকার ৭টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধনকারী ওই ব্যক্তি প্রথম সকাল পত্রিকার সাথে গোঁপন আতাত করে সংবাদ প্রকাশে ইন্ধন দিয়েছে। আর পত্রিকার মালিক আমার সাফল্যে ও উন্নয়ন কাজ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে এই জাতীয় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে গ্রামবাসীর সুনাম ও মান ক্ষুন্ন করেছে। সেখেরদাঁইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার স্ত্রীকে সভাপতি বানিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

শরীফ জানান, সেখেরদাইড় গোরস্থানে ৭ বছর ধরে ওই ব্যক্তি নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতার সময়ে ২৭১ টি কবরের জন্য আত্মীয় স্বজনদের নিকট হতে ৩-১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা নিয়ে গোরস্থানের কোন উন্নয়ন না করে আত্মসাত করে। এমনকি গোরস্থানের গেট করার জন্য প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর দেয়া ১২ লাখ টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু গেট না বানিয়ে সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাত করে। এছাড়াও হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামে ব্যানারে ৩ তলা ভবন দেখিয়ে বিভিন্ন নেতাদের নিকট থেকে টাকা তুলে এবং মাদ্রাসার নামে ৭ বছর ধরে বার্ষিক জালছা করে ১২- ১৫ লাখ করে টাকা আদায় করে জনগনকে হিসেব না দিয়ে আত্মসাত করেছে। প্রতিষ্ঠানের নামে কাবিখা, টিআর থেকে ২৫ লাখ ও জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত ৬ লাখ টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ১৫/২০ লাখ টাকা খরচ করে একটি বিল্ডিং করেছে, কিন্তু বাকি টাকার কোন হদিস নেই।

এর আগে মিরকামারী মাদ্রাসার সভাপতি থাকা অবস্থায় মাদ্রাসার ২ বিঘা ৮ কাঠা জায়গা ৫৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চাঁদা, অনুদান কিংবা দানের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত এবং অর্থ আত্মসাতকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!
Bengali Bengali English English Russian Russian
error: Content is protected !!